তজুমদ্দিন প্রতিনিধি,ভোলা নিউজ ২৪ ডটকম :: ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনায় জেলেদের মাছ ধরার ট্রলারে গণডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ সময় ডাকাতরা অন্তত ৮টি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি করে এবং ৫জেলেকে অপহরণ করে এসব ট্রলারের বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়।পরে মুক্তিপন দিয়ে অপহৃত জেলেরা ছাড়া পান।
অপহৃত জেলের আড়ৎদার সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় শশীগঞ্জ স্লুইজঘাট এলাকার হারুন মাঝি, রুবেল মাঝি, শরীফ মাঝি, মাকসুদ মাঝি, নকিব মাঝি ও সফু মাঝি রবিবার দিবাগত রাতে মেঘনার বিভিন্ন এলাকায় মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে। গভীর রাতে মাছ ধরারত অবস্থায় কিছু বুঝে উঠার আগেই ৮টি জেলে ট্রলারে অতর্কিত হামলা চালায় জলদস্যুরা। এ সময় জাল, মাছ, নগদ টাকা, মোবাইল,সোলারসহ ৫জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে অপহৃত জেলেদের মোবাইল দিয়ে তাদের আতœীয়-স্বজনের সাথে কথা বলে বিকাশের মাধ্যমে ১লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। আত্বীয়-স্বজনরা কোন উপায় না পেয়ে তারা টাকা দিলে সোমবার ভোর রাতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মির্জাকালু স্লুইজঘাটের দক্ষিণ পাশে ৫জেলেকে নামিয়ে দেয়।অপহৃত ৫জেলে হলেন, মোঃ মাকসুদ মাঝি, মোঃ হারুন মাঝি, মোঃ নকিব মাঝি, মোঃ সফু মাঝি, মোঃ রুবেল মাঝি।
আড়ৎদার মোঃ আলমগীর দর্জি জানান, ঈদকে সামনে রেখে মেঘনায় কয়েকটি জলদস্যূ বাহিনী বেপারোয়া হয়ে উঠেছে। ২/৪টি মাছ জালে ধরা পরতে শুরু করায় এ অবস্থা। প্রায় প্রতিদিন ডাকাতির কারণে জেলে ও মৎস্য আড়ৎদাদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। এছাড়া একাধিক জেলে এবং আড়তদাররা অভিযোগ করে বলেন,নদী এখন জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রনে। পুলিশ কিংবা কোস্টগার্ড কেউ তেমন অভিযান করে না। তারা উপরে থেকেইে বলে আমরা নদীকে অভিযান চালিয়ে আসছি। তাদের উদাসিনতার কারনেইডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি আর জেলে অপহরনের ঘটনা ঘটছে। মেঘনায় মাছ ধরা অবাধ করতে প্রশাসনের তৎপরতা বৃদ্ধিরদাবী জানান তারা।
তজুমদ্দিনে কোষ্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোঃ সুলতান বলেন, আমরা নিয়মিত মেঘনায় পেট্টোল ডিউটি করি। গভীর রাতে মেঘনায় জেলে ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা শুনে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
তজুমদ্দিন থানার ওর্সি এস এম জিয়াউল হক বলেন, ডাকাতির ঘটনাটি শুনেছি। তবে তজুমদ্দিনের মেঘনা কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।