আরিফ উদ্দিন রনি:ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট :ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার বিচ্ছিন্ন দূর্ঘম চর মোজাম্মেলে সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের গুচ্ছগ্রামের কাজে অবৈধ দখলদার ও ভূমি দস্যূ অজিউল্লাহ বাহিনীর হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অজিউল্লাহ বাহিনীর হামলায় সেখানে কাজ করতে যাওয়া প্রায় ১০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। সোমবার সরিজমিনে গিয়ে চর মোজাম্মেলের স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছর সরকার তজুমদ্দিনের ভাঙন কবলিত মানুষের আশ্রয়নের জন্য চর মোজাম্মেলে গুচ্ছগ্রাম করার পরিকল্পনা গ্রহন করে। সে অনুযায়ী গত অর্থ বছরে সেখানে তিনটি গুচ্ছগ্রাম নির্মান কাজ সম্পন্ন করা হয়। এবং এবছর আরও চারটি গুচ্ছগ্রাম নির্মান কাজ শুরু হয়েছে।
আরও জানাযায়, গুচ্ছগ্রামের কাজ করতে গত বুধবার ঠিকাদার তাদের লোকজন নিয়ে ওই চরে মাটি কাটতে গেলে সেখানকার অবৈধ দখলদার অজিউল্লাহ বাহিনীর প্রধান অজিউল্লাহ মাঝী ও তার লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে শ্রমিকদের উপর হামলা চালায়। এসময় প্রায় ১০জন শ্রমিককে মারধর করে ও শ্রমিকদের সরদার মো. হাবিবুল্লাহকে সেখানকার দুলাল বাজারে অজিউল্লাহ’র টর্চার সেলে আটকে রেখে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এক পর্যায়ে তারা শ্রমিকদের হাড়ি-পতিল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পরে তাদেরকে তজুমদ্দিন পাঠানোর উদ্দেশ্যে ট্রলারে উঠালে শ্রমিকরা স্থানীয় চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ফোন করলে অজিউল্লাহ তাদেরকে ছেড়ে দেয়।
আহত শ্রমিক মো. হাবিবুল্লাহ, মনির, মো. হানিফ, মো. ছিদ্দিক, মো. মাসুদসহ প্রায় ১০-১২জন শ্রমিক অভিযোগ করে বলেন, গত বুধবার ঠিকাদার গুচ্ছগ্রামের মাটির কাজের জন্য তাদেরকে চরে পাঠায়। তারা ট্রলারে করে চর মোজাম্মেলে পৌঁছলে সেখানকার অবৈধ দখলদার অজিউল্লাহ ও তরা সন্ত্রাসী বাহিনী মাইকে ঘোষণা দিয়ে চতুর্দিক থেকে তাদের উপর হামলা চালায়। তারা সেখানকার দুলাল বাজারে আশ্রয় নিলে তাদের সরদার মো হাবিবুল্লাহকে সেখানে থাকা অজিউল্লাহর টর্চার সেলে আটকে রেখে মারধর করে। এসময় তাদের প্রায় ১০ জন শ্রমিক আহত হয়। এমনকি অজিউল্লাহর লোকজন তাদের হাড়ি-পালিত ও আসভাবপত্র ভাঙচুর করে ব্যবহৃত কাপরচোপর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে ঠিকাদার সেখানকার চেয়ারম্যান ফখরুল আলম জাহাঙ্গীরকে ফোন দিলে চেয়ারম্যানের কথায় অজিউল্লাহ বাহিনী তাদেরকে ছেড়ে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সাল থেকে তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে মো. অজিউল্লাহ চাঁদপুর ইউনিয়নের একটি অংশ চর মোজাম্মেলের সরকারি গাছ কেটে ওই চর দখল করে। চরটি উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় সেখানে কোনো মানুষের যাতায়াত ছিলো না। সেই সুযোগে অজিউল্লাহ বিভিন্ন যায়গা থেকে মানুষ এনে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সেখানে বসতি স্থাপন শুরু করে। আস্তে আস্তে সেখানকার মানুষ তাকে ওই চরের নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে থাকে। চরে বিভিন্ন জলদস্যূদের সমন্বয়ে অজিউল্লাহ বাহিনী নামের একটি নিজস্ব বাহিনী রয়েছে তার। বর্তমানে ওই চরে প্রায় ১৩ হাজার লোকের বসবাস। এসকল লোক তার কথায় উঠবস করে। সেখানে অজিউল্লাহর আইন ছাড়া সরকারি আইনও চলে না। তার কথার বাইরে কেউ চললে তাকে চর ছাড়া হতে হয়। সেখানে বিচার কার্জ পরিচালনা ও শাস্তির জন্য দুলাল বাজরে রয়েছে তার নিজস্ব টর্চার সেল। অজিউল্লাহর নামে সেখানে একটি গ্রাম রয়েছে। রয়েছে কিল্লা ও ব্রিজ। এক কথায় অজিউল্লাহর কাছে চরের ১৩ হাজার মানুষ জিম্মি হয়ে রয়েছে। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। প্রশাসনের কেউ চরে গেলে তাদর সামনে সেখানকার সবাই অজিউল্লাহর গুনকীর্তন করে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত অজিউল্লাহ মাঝী তার বাহিনীর হামলার কথা স্বিকার করে বলেন, ঠিকাদার গুচ্ছগ্রাম নির্মান করতে আসলে মানুষ তাদের উপর হামলা চালায়। পরে চেয়ারম্যান আমাকে ফোন করার পর আমি আমার বাহিনী থামিয়ে দিয়েছি। এছাড়াও চরের মানুষ এখানে গুচ্ছগ্রাম চায় না। গুচ্ছগ্রাম করলে মানুষের ফসলি জমির ক্ষতি হয়। এজন্যই মানুষ এর বিরোধীতা করে। ২০০৩ সালের দিকে যখন এই চরে বনজঙ্গলে ভড়া ছিলো তখন আমি সবাইকে নিয়ে এই বন পষ্কিার করে ঘর নির্মান করি। সে সময় সবার কাছ থেকে দুই শত টাকা করে নিয়ে প্রত্যেককে দেড় একর করে জমি বুঝিয়ে দেই। এর বাইরে কোনো টাকা নেয়া হয়নি। তবে প্রতি বছর জমি চাষের জন্য একর প্রতি চার হাজার ও জমি দেখভাল করার জন্য পাঁচশত টাকা করে নেয়া হয়। আমি এ চর নিয়ে অনেক কষ্ট করেছি। এখন এখানে গুচ্ছগ্রাম করে আমাদের ফসলি জমিগুলো নষ্ট করা হচ্ছে। তাই সবাই এর বিরোধীতা করে।
চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম জাহাঙ্গীর বলেন, চর মোজাম্মেল মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় সেখানে সব সময় যাওয়া আসা করা যায় না। তাই স্থানীয়ভাবে অজিউল্লাহ শালিস বিচার করে থাকে। বড় ধরনের ঘটনা হলে আমরা এই পার থেকে গিয়ে সেটি মিমাংশা করে দেই। গুচ্ছগ্রামের মাটির কাজে স্থানীয়রা বাঁধা দিলে আমি গিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন আশ্বাস দিয়ে মাটি কাটার কাজ শুরু করে দিয়ে আসি।
এব্যাপারে তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জালাল উদ্দিন বলেন, সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় অসহায় মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করতে বিভিন্ন চরে গুচ্ছগ্রাম করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এই গুচ্ছগ্রামগুলো সরকারি খাশ জমিতেই করতে হবে। সেই লক্ষে তজুমদ্দিনের চর মোজাম্মেলেও ১৫টি গুচ্ছগ্রাম করার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে চরাটির কাজ করার জন্য মাটি কাটার কাজ চলছে। এর মধ্যে গত বুধবার দুইটি গুচ্ছগ্রামের কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকরা হামলার শিকার হয়েছে। পরে আমরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংশা করেছি। বর্তমানে ওই গুচ্ছগ্রামগুলোর কাজ চলমান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সাল থেকে তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে মো. অজিউল্লাহ চাঁদপুর ইউনিয়নের একটি অংশ চর মোজাম্মেলের সরকারি গাছ কেটে ওই চর দখল করে। চরটি উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় সেখানে কোনো মানুষের যাতায়াত ছিলো না। সেই সুযোগে অজিউল্লাহ বিভিন্ন যায়গা থেকে মানুষ এনে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সেখানে বসতি স্থাপন শুরু করে। আস্তে আস্তে সেখানকার মানুষ তাকে ওই চরের নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে থাকে। চরে বিভিন্ন জলদস্যূদের সমন্বয়ে অজিউল্লাহ বাহিনী নামের একটি নিজস্ব বাহিনী রয়েছে তার। বর্তমানে ওই চরে প্রায় ১৩ হাজার লোকের বসবাস। এসকল লোক তার কথায় উঠবস করে। সেখানে অজিউল্লাহর আইন ছাড়া সরকারি আইনও চলে না। তার কথার বাইরে কেউ চললে তাকে চর ছাড়া হতে হয়। সেখানে বিচার কার্জ পরিচালনা ও শাস্তির জন্য দুলাল বাজরে রয়েছে তার নিজস্ব টর্চার সেল। অজিউল্লাহর নামে সেখানে একটি গ্রাম রয়েছে। রয়েছে কিল্লা ও ব্রিজ। এক কথায় অজিউল্লাহর কাছে চরের ১৩ হাজার মানুষ জিম্মি হয়ে রয়েছে। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। প্রশাসনের কেউ চরে গেলে তাদর সামনে সেখানকার সবাই অজিউল্লাহর গুনকীর্তন করে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত অজিউল্লাহ মাঝী তার বাহিনীর হামলার কথা স্বিকার করে বলেন, ঠিকাদার গুচ্ছগ্রাম নির্মান করতে আসলে মানুষ তাদের উপর হামলা চালায়। পরে চেয়ারম্যান আমাকে ফোন করার পর আমি আমার বাহিনী থামিয়ে দিয়েছি। এছাড়াও চরের মানুষ এখানে গুচ্ছগ্রাম চায় না। গুচ্ছগ্রাম করলে মানুষের ফসলি জমির ক্ষতি হয়। এজন্যই মানুষ এর বিরোধীতা করে। ২০০৩ সালের দিকে যখন এই চরে বনজঙ্গলে ভড়া ছিলো তখন আমি সবাইকে নিয়ে এই বন পষ্কিার করে ঘর নির্মান করি। সে সময় সবার কাছ থেকে দুই শত টাকা করে নিয়ে প্রত্যেককে দেড় একর করে জমি বুঝিয়ে দেই। এর বাইরে কোনো টাকা নেয়া হয়নি। তবে প্রতি বছর জমি চাষের জন্য একর প্রতি চার হাজার ও জমি দেখভাল করার জন্য পাঁচশত টাকা করে নেয়া হয়। আমি এ চর নিয়ে অনেক কষ্ট করেছি। এখন এখানে গুচ্ছগ্রাম করে আমাদের ফসলি জমিগুলো নষ্ট করা হচ্ছে। তাই সবাই এর বিরোধীতা করে।
চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম জাহাঙ্গীর বলেন, চর মোজাম্মেল মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় সেখানে সব সময় যাওয়া আসা করা যায় না। তাই স্থানীয়ভাবে অজিউল্লাহ শালিস বিচার করে থাকে। বড় ধরনের ঘটনা হলে আমরা এই পার থেকে গিয়ে সেটি মিমাংশা করে দেই। গুচ্ছগ্রামের মাটির কাজে স্থানীয়রা বাঁধা দিলে আমি গিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন আশ্বাস দিয়ে মাটি কাটার কাজ শুরু করে দিয়ে আসি।
এব্যাপারে তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জালাল উদ্দিন বলেন, সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় অসহায় মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করতে বিভিন্ন চরে গুচ্ছগ্রাম করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এই গুচ্ছগ্রামগুলো সরকারি খাশ জমিতেই করতে হবে। সেই লক্ষে তজুমদ্দিনের চর মোজাম্মেলেও ১৫টি গুচ্ছগ্রাম করার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে চরাটির কাজ করার জন্য মাটি কাটার কাজ চলছে। এর মধ্যে গত বুধবার দুইটি গুচ্ছগ্রামের কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকরা হামলার শিকার হয়েছে। পরে আমরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংশা করেছি। বর্তমানে ওই গুচ্ছগ্রামগুলোর কাজ চলমান রয়েছে।