জামায়াত-বিএনপি মানুষকে কী দিয়েছে? প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

0
2

নিজস্ব প্রতিবেদক,কক্সবাজার :: জামায়াত-বিএনপি এদেশের মানুষকে কী দিয়েছে? এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৪ সালের ২৪ আগস্ট আমাদের শান্তি র‌্যালিতে দিনেদুপুরে গ্রেনেড হামলা করে তারেক-খালেদা জিয়া গং। যুদ্ধের ময়দানের গ্রেনেড আমাদের ওপর ছোড়া হয়েছিল। আইভী রহমানসহ ২২ জন নেতাকর্মী মারা যায়। আল্লাহর রহমতে আমি বেঁচে গিয়েছিলাম।

 

২০১৪-১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে আগুনে পুড়িয়ে ৫০০ মানুষকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বিএনপি এ দেশকে মানি লন্ডারিং, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস এবং লুটপাট ছাড়া আর কিছু দিতে পারেনি। তারা তিন হাজার মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। ৫০০ মানুষকে করেছে হত্যা।’

বুধবার কক্সবাজারে শেখ কামাল স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষ বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে বলেই দেশের জন্য কাজ করতে পারছি। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের ভোট বৃথা যায়নি।’
খালেদা জিয়া এবং এরশাদের সরকার দেশকে কিছুই দেয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পাঁচ বছর পর কক্সবাজার সফরে এক হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৯ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে ৫৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেছেন।
উদ্বোধন হওয়া ২৯ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- কক্সবাজার গণপূর্ত উদ্যান, বাহারছড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঠ, কুতুবদিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ভবন, উপজেলা ভূমি অফিস ভবন, পেকুয়া; কক্সবাজার জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় ভবন, শেখ হাসিনা জোয়ারিয়ানালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চার তলা অ্যাকাডেমিক ভবন, আবদুল মাবুদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের চার তলা অ্যাকাডেমিক ভবন, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চার তলা অ্যাকাডেমিক ভবন।
কক্সবাজার জেলার লিঙ্ক রোড-লাবণী মোড় সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ; রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ; টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ জেলা মহাসড়কের হাড়িয়াখালী থেকে শাহপরীর দ্বীপ অংশ পুনর্নির্মাণ, প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ; বাঁকখালী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন, সেচ ও ড্রেজিং প্রকল্প (প্রথম পর্যায়), শাহপরীর দ্বীপে সি ডাইক অংশে বাঁধ পুনর্নির্মাণ ও প্রতিরক্ষা কাজও উব্দোধন করেন তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ডারের পুনর্বাসন প্রকল্প, রামু কলঘর বাজার-রাজারকুল ইউনিয়ন সড়কে বাঁকখালী নদীর ওপর ৩৯৯ মিটার দীর্ঘ সাংসদ ও রাষ্ট্রদূত ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী সেতু, কক্সবাজার জেলায় নবনির্মিত ছয়টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভবন, চারটি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন (রামু, টেকনাফ, মহেশখালী ও উখিয়া), কক্সবাজার পৌরসভার এয়ারপোর্ট রোড আরসিসিকরণ ও অন্যান্য; শহীদ সরণি আরসিসিকরণ ও অন্যান্য; বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম সড়ক আরসিসিকরণ; নাজিরারটেক শুঁটকিমহাল সড়ক আরসিসিকরণ; টেকপাড়া সড়ক আরসিসিকরণ ; সি বিচ রোড আরসিসিকরণ; মুক্তিযোদ্ধা সরণি আরসিসিকরণ; সৈকত-স্মরণ আবাসিক এলাকা সড়ক আরসিসিকরণ ও অন্যান্য এবং আইনজীবী সমিতির নতুন ভবনও প্রকল্পও রয়েছে।
এ সময় চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্প; কুতুবদিয়া উপজেলার ধুরুং জিসি মিরাখালী সড়কে ধুরুংঘাটে ১৫৩ দশমিক ২৫ মিটার জেটি এবং আকবর বলী ঘাটে ১৫৩ দশমিক ২৫ মিটার জেটি নির্মাণ; মহেশখালী উপজেলার গোরকঘাটা ঘাটে জেটি নির্মাণ; বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদ বরাবর পোল্ডারসমূহের (৬৭/এ, ৬৭, ৬৭/বি এবং ৬৮) পুনর্বাসন প্রকল্প।

LEAVE A REPLY