ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে পুনর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছে ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল।
এর আগে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক কমিশনার ফিলিপস ক্যান্ডিওর সঙ্গে বৈঠক করেন ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
শাহ কামাল বলেন, ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার থেকে কমপক্ষে চার লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এ ছাড়া এর আগে বিভিন্ন সময়ে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বিপুলসংখ্যক এই রোহিঙ্গার জন্য হাতিয়ার ভাসানচরে উপযুক্ত জায়গা রয়েছে। তাদের সেখানে পুনর্বাসন করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান সচিব।
এর আগে সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পুনর্বাসন করা হবে। ভাসানচরকে মানুষ জালিয়ারচর ও ঠ্যাঙ্গারচর নামেও চেনে। ভাসানচর নামটি সুন্দর। সেখানে ভাসমান মানুষেরা থাকবে।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে শাহ কামাল বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে যে পরিমাণ নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তাতে বেঁচে থাকার তাগিদে ভাসানচরে নিজেরাই নিজেদের অবস্থান গড়ে নেবে। আজ জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা ভাসানচরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পয়োনিষ্কাশন, খাবার পানির ব্যবস্থাসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
সচিব আরো বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য সরকারের উদ্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। চারদিকে বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি থেকে চরকে নিরাপদ করা হবে।
এর আগে গত সপ্তাহে এনটিভি অনলাইনকে ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, মৃত্যুকূপ থেকে ফিরে এসে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এখানে এসে তারা প্রাণে বেঁচেছে, এতে সারা সন্তুষ্ট। তারা মৃত্যুকে জয় করে টিকে আছে। তারা পরিশ্রমী। একটু অবলম্বন পেলে তারা নিজেদের মতো করে বসবাসের ব্যবস্থা করে নিতে পারবে। উখিয়া ও টেকনাফে তারা যে অবস্থায় আছে, তার থেকে ভাসানচরে ভালোভাবে থাকতে পারবে।