দৌলতখান প্রতিনিধি।। জমিজমা সংক্রান্ত্র বিরোধের জের ধরে দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নে কৃষকের ঘর ভেঙ্গে পুকুরে ফেলে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। গতকাল রবিবার দুপুরে চরপাতা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের চরগুমানি মাদ্রাসা সংলগ্ন বয়েজউদ্দিন হাওলাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বয়েজউদ্দিন হাওলাদার বাড়ির বাসিন্দা আবুল কালাম তার স্ত্রী রাবেয়া বেগমের জমিতে তৈরি করা ঘর মেরামত করতে গেলে একই এলাকার পুরাতন বয়েজউদ্দিন হাওলাদার বাড়ির বাসিন্দা মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে ফয়েজ কালু একদল সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালায় এবং ভাংচুর করে । ঘরের টিন খুলে পুকুরে ফেলে দেয় এবং ঘরে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বয়েজউদ্দিন হাং বাড়ির বাসিন্দা আবুল কালামের স্ত্রী রাবেয়া, জেবল হকের ছেলে মোতালেব, মুজিবুল হকের ছেলে শাহআলম একই এলাকার মৃত হামিদ আলীর ছেলে মৃত আব্দুল কাদের গংদের কাছ থেকে ৯২৬ নং খতিয়ানে ও ১৩৩৩ দাগের জমি করে। স্ত্রী রাবেয়ার নামে ক্রয়কৃত জমিতে আবুল কালাম ঘর নির্মান করে বসবাস করে আসছিল। পরবর্তীতে তারা কাজের জন্য সপরিবারে চট্টগ্রামে অবস্থান করলে গতবছর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ঘর পরে যায়। গত কয়েক মাস আগে আবুল কালাম ও তার পরিবার পুনরায় নিজ বাড়িতে এসে বসত ঘরটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়। এ সময় স্থানীয় সুলতান আহমেদের ছেলে ফয়েজ কালু ওই জমির মালিকানা দাবি করে আবুল কালাম ও তার পরিবারকে ঘর তুলতে বাধা দেয় । বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে ও দৌলতখান থানায় শালিশের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। গতকাল দুপুর বেলা হটাৎ পুলিশের সহায়তা নিতে বাড়িতে প্রবেশ মালিককে শাসিয়ে যায়। কিছুখন পরে একদল সন্ত্রাসীদের সহায়তায় আবুল কালামের ঘর ভাংচুর করে। ঘরের টিন খুলে পুকুরে ফেলে দেয় এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা আসে পাশের আরো দুটি ঘরের বেড়া ভাংচুরের চেষ্টা চালায় । স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশের সহায়তায় ফয়েজ কালু সন্ত্রাসীদের নিয়ে এই ভাংচুর চালায় । এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফয়েজ কালুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে দৌলতখান থানার ওসি বজলার রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান জমি বিরোধ থাকায় এক পক্ষ এসে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ গিয়ে ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় ।