স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভোলা জেলার মনপুরা ইউপি চেয়ারম্যান আমানত উল্ল্যাহ আলমগীরের বিরুদ্ধে মৎস্য ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়ম এর অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ভোলার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক মাহমুদুর রহমান এবং মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা বিপুল চন্দ্র দাসএ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, এ নিয়ে মোট ৪২ জন জনপ্রনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। তার মধ্যে ভোলা জেলার ২ জন ইউপি চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরা হলেন ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ওরফে মিজান খা ও মনপুরা উপজেলার মনপুরা ইউপি চেয়ারম্যান আমানত উল্ল্যাহ আলমগীরকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। একইসময় কারন দর্শানো নোটিশে কেন চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাবপত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়। এদিকে মনপুরা ইউপি চেয়ারম্যান আমানত উল্ল্যাহ আলমগীর বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ না হয়েছে তা সত্য নয়। একটি মহল ষড়যন্ত্র করে জেলেদের দিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তদন্দ্রকে প্রভাবিত করেছে। আমার ইউনিয়নে নিবন্ধিত ২২শ’ জেলে রয়েছে। কিšু‘ ৮০১ জনের চাল বরাদ্দ পেয়েছি। জেলে বেশি বরাদ্ধ কম । বাকি জেলেদের চাল বরাদ্ধ পাইনি। স্বাভাবিক ভাবেই তারা আমার বিরুদ্ধে বলবে এটাই সত্য। বরাদ্ধ পেলেই তো বাকি জেলেদের চাল আমি দিতে পারতাম বলে জানান। আমি ষড়যন্ত্রের স্বীকার বলে তিনি জানান।