চরফ্যাসনের কামরুল আলম কিরনের” অনুচ্চারিত সংলাপ” একুশে বইমেলায়

0
250

আকতারুজ্জামান সুজন, চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরযমুনা গ্রামের সন্তান কামরুল আলম কিরনের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘অনুচ্চারিত সংলাপ’ প্রকাশিত হয়েছে একুশে বই মেলায়। ছায়াবিথী প্রকাশনায় এই কবিতার বইটি পাওয়া যাবে মেলার ২৮০, ২৮১ ও ২৮২ স্টলে।

কামরুল আলম কিরন পেশায় একজন পুলিশ অফিসার হলেও বর্তমান সময়ের একজন কবি, ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক হিসাবে পরিচিত। শিশু-কিশোরদের নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করছেন তিনি। শিশু সাহিত্যে অবদানের জন্য গত ১৭ই জানুয়ারি নবাব স্যার সলিমুল্লাহর ১০৫ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে রাজধানীর গুলিস্তানে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ পদক ২০২০ প্রদান করা হয়। জাতীয় পত্রিকা ইনকিলাবের সাহিত্যের পাতায় রাজনৈতিক, সামাজিক, ও সমসাময়িক ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে লেখা তার রসাত্বক ছড়াগুলো পাঠক মহলে খুব আলোড়ন সৃষ্টি করে। গত একুশে বই মেলায় সকল শ্রেনীর পাঠকের জন্য প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ সুন্দর হে সুন্দরও কবিতার বইটি পাঠক মহলে সাড়া পাওয়ায় এবার তিনি তার সপ্তম গ্রন্থের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ “অনুচ্চারিত সংলাপ” প্রকাশ করেছেন।

কাব্যগ্রন্থটির ব্যাপারে কবি কামরুল অালম কিরন জানান, তিনি এই বইটিতে তার কবিতাগুলো নানা বিষয় নিয়ে উপস্থাপন করেছেন সাবলীলভাবে। সহজ করে যা উপস্থাপন করছেন তা মানুষের জীবনেরই বাস্তবতা যেখানে পাঠকের ভাবনার বিষয় প্রসারিত হয়। এছাড়াও প্রেম, ভালবাসা, সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না ও সমসাময়িক ঘটে যাওয়া বিস্তৃত বিষয়ের কবিতা উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে “অনুচ্চারিত সংলাপ” কাব্যগ্রন্থটি পাঠকের প্রত্যাশা পূরণ করবে এমনটাই তিনি আশা করেন।

কবি ও শিশু সাহিত্যিক কামরুল আলম কিরণ ১ লা ফেব্রয়ারি ১৯৭০ সালে ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরযমুনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা এম,এ কাইউম এবং মাতা হোসনে আরা বেগমের দ্বিতীয় পুত্র কামরুল আলম কিরণ দুলার হাট হাই স্কুল থেকে ১৯৮৫ সালে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ন হন। ভোলা সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে অনার্স সহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তার ছড়া কবিতা লেখার হাতেখড়ি হয়। কলেজে স্বরচিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানে কবিতা লেখার জন্য তিনি প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তাঁর লেখা ছড়া গল্প ও কবিতা বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনসহ দেশের জাতীয় দৈনিক পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯৯৪ সালে পুলিশ সার্জেন্ট হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সাফল্যের সাথে চাকরি করার পাশাপাশি তিনি ২০১১ সালে লাইবেরীয়াতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে যোগদান করেন। একবছর সাফল্যের সঙ্গে লাইবেরীয়া শান্তিরক্ষী মিশনে কাজ করার পর ২০১২ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ২০০৮ সালে তাঁর প্রথম ছড়ার বই ‘হিজিবিজি’ প্রকাশিত হয়। দীর্ঘ বিরতির পর তাঁর দ্বিতীয় ছড়াগ্রন্থ ‘নির্বাচিত ছড়া’ প্রকাশিত হলে পাঠক মহলে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়। গত বছর বইমেলায় প্রকাশিত তাঁর দু’টি ছড়াগ্রন্থ ‘রঙ্গে ভরা বঙ্গদেশ’ এবং ‘ফাগুনের ছড়া’ পাঠকমহলের সুদৃষ্টি অর্জনে সক্ষম হয়। বর্তমানে তিনি পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে এসপিবিএন-১, ঢাকায় কর্মরত আছেন। কামরুল আলম কিরণের স্ত্রী ফেরদৌসী আলম হীরা একজন সুগৃহিণী। কন্যা পারমিতা আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের মেধাবী ছাত্রী এবং পুত্র আবদুল্লাহ ফাইক প্রান্ত ডারল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল মিরপুর, ঢাকায় স্টান্ডার্ড এইটে অধ্যয়নরত।

LEAVE A REPLY