চরফ্যাশনে লাম্পি স্কিন ভাইরাসে হাজার হাজার গরু আক্রান্ত প্রতিরোধে নেই ভ্যাকসীন

0
562

চরফ্যাশন প্রতিনিধি।। চরফ্যাশন উপজেলায় প্রথমবারে মতো ভাইরাসজনিত লাম্পি স্কিন ভাইরাসে হাজার হাজার গরু আক্রান্ত হয়েছে। চরফ্যাশন উপজেলার পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়নে এ ভাইরাস ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে। প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে উপজেলার ১লাখ ১৮হাজার ২২৩টি গরুর মধ্যে ১০% গরু এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সূত্রে জানা যায় চরফ্যাশনে ১৮৫টি গরুর খামারের প্রায় খামারেই এ ভাইরাসের দেখা দিয়েছে। উপজেলার চর নিজাম,চর হাসিনা, জাহানপুর, চর ফকিরা, হাজারীগঞ্জ, চর মানিকা, ঢালচর ও বয়ারচরে গত একমাসে ১১হাজারের বেশি গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এতে বেশ কিছু গরু অনাহারে দুর্বল হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরছে বলে খামারিরা জানান। চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের গরুর খামারি খলিল জানান, এ ভাইরাসে প্রথমবারের মতো আমার গরু আক্রান্ত হয়েছে। প্রথমে গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুটি ওঠে ফুলে যায়। পরে গুটিগুলো ইনফেকশনে দগদগে ঘা সৃষ্টি হয় এবং ক্ষত স্থানে চামরা ও মাংস পচে যাচ্ছে। শরীরে উচ্চ মাত্রার জ্বর ও ব্যাথা থাকায় এ সময় খাওয়া বন্ধ করে গরুগুলো দুর্বল হয়ে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের খামারি সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতি গরুর ঔষুধ যেমন লাগছে ৪-৫হাজার টাকা আবার তেমন সহজলভ্যতা না থাকায় আক্রান্ত গরু নিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, এ ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল আফ্রিকা মহাদেশে। এটি মশা ও মাছি দ্বারা ছড়িয়ে থাকে। এ রোগটি হলে মুলত গরুর শরিরে ফুলা ফুলা গুটি ওঠে এবং পায়ের জয়েন্টে পানি জমে। তবে এ ভাইরাসের কোনোও ভ্যাকসিন নেই সেকেন্ডারি ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন রোধে অবস্থা নির্নয় পূর্বক এ্যান্টিবায়োটিক ও বিভিন্ন চিকিৎসা দেওয়া দেওয়া হচ্ছে। ঔষধ প্রয়োগ করলে ২-৩ সপ্তাহ লাগে এ রোগ সারতে। তিনি আরোও বলেন, ভাইরাস আক্রান্ত রোধে গরুর খামার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং নিয়ম মেনে গবাদি পশুর চিকিৎসা করালে কোনোও ঝুকি থাকেনা।

LEAVE A REPLY