চরফ্যাশনে দশ হাজার টাকায় মিলছে বন বিভাগের কেওড়া কাঠ

0
507
SONY DSC

চরফ্যাশন প্রতিনিধি॥ চরফ্যাশনের আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড থেকে বনবিভাগের বিপুল পরিমান চোরাই কেওড়া কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের মালদ্বীপ প্রবাসী আবুল কালাম দাই’র বাড়ি থেকে বন বিভাগ কর্মকর্তারা এসব কাঠ উদ্ধার করছে ।
স্থানীয় সুত্র জানায়, প্রবাসী আবুল কালাম দাই’র স্ত্রী পিয়ারা বেগম তার পরিবার পরিজন নিয়ে কয়েক বছর ধরে চর হাসিনায় বন বিভাগের জায়গা দখল করে বসবাস করে আসছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বন বিভাগের কর্মকর্তাদেরকে ম্যানেজ করে তার ভাই রমিজ উদ্দিন এবং প্রতিবেশী বেলায়েত হোসেন তোতা নামের জনৈক ব্যাক্তির মাধ্যমে বনের কেওড়া গাছ কেটে তা বিক্রি করে আসছিলো। গত বুধবার সকালে চর হাসিনা থেকে প্রায় ৬০মণ কেওড়া কাঠ কেটে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার যোগে তার আব্দুল্লাহপুরের বাড়িতে নিয়ে আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাসির দোন বিটের ফরেস্টার মো. মাসুদ রায়হান বৃহস্পতিবার সকালে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাড়ির পুকুর, আশ পাশের ডোবা, ঘর এবং উঠান থেকে বিপুল পরিমান চোরাই কেওড়া কাঠ উদ্ধার করে স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় স্বমিল ব্যবসায়ী সোহেল সিকদারের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

আবুল কালাম দাই’র স্ত্রী পিয়ারা বেগম বলেন,আমি চরহাসিনায় জমি বন্দোবস্ত নিয়ে বসবাস করে আসছি। সেই সুবাধে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি বছর দশ হাজার টাকা করে দিয়ে আমরা জ¦ালানী কাঠ কিনে থাকি। সেই কাঠ আমি আমার আব্দুল্লাহপুরের বাড়িতে নিয়ে আসি।
বাশির দোন বিটের ফরেস্টার মো.মাসুদ রায়হান বলেন, আমরা খবর পেয়ে আব্দুল্লাহপুরের ৫নং ওয়ার্ডের আবুল কালাম দাই’র বাড়ি থেকে চোরাইকৃত প্রায় ৬০মন কেওড়া কাঠ উদ্ধার করেছি। আমাদের উপস্থিতিটের পেয়ে অভিযুক্ত পিয়ারাসহ সবাই বাড়িতে থেকে পালিয়ে গেছে। তবে প্রতি বছরে জ¦ালানী কাঠের জন্য চরে বসবাসকারীদের কাছ থেকে দশ হাজার টাকা নেয়া প্রসঙ্গে এই কর্মকর্তা বলেন, আমি একমাস হলো এখানে যোগদান করেছি। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা । আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় চোরাই কাঠ গুলো উদ্ধার করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে।

LEAVE A REPLY