মো: আফজাল হোসেন :: ভোলার চরফ্যশনে আদালতের নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধীয় জমিতে ওয়াল নির্মান এবং বালু ভরাটের কাজ হচ্ছে। বাদী থানা পুলিশকে অবহিত করলেও পুলিশ অপরাগতা প্রকাশ করেন।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ৪নং ওয়ার্ডর স্বপন কুমার দাস এবং তারই ভাতিজা পার্থ স্বারথী দাস এর সাথে দন্দের কারনে চরফ্যাশনের সহকারী জজ আদালতে সুবিচার চেয়ে মামলা দায়ের করেন। ক্রয়কৃত জমি পার্থ স্বারথী দাম অন্যত্র বিক্রি করে দিলে,খবর পেয়ে চাচা স্বপন কুমার দাস আদালতের মাধ্যমে টাকা দাখিল করেন। একই সাথে নিষেধাজ্ঞার দাবি করেন। বিজ্ঞ আদালত শান্তিশৃংখলা বজায় রাখতে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। তবে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,জমির চারপাশে ইট দিয়ে ওয়াল উঠিয়ে দিয়ে বালু ভরাটের কাজ চলছে। এসময় বিরোধীয় জমিতে একটি সাইনবোর্ডে পার্থ স্বারথী দাস থেকে ক্রয়সুত্রে জমির মালিক দাবী করেছেন মো: তসলিম,মো: মামুন ও মো: টিপু নামের তিনজন। তারা ৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন বলে দাবী করে সাইনবোর্ড দিয়েছেন।
পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বিরোধীয় জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও ঐ জমিতে ইট দিয়ে ওয়াল নির্মানের পর বালু ভরাটের কাজ করছেন ক্রয় সুত্রে মালিকরা। বিষয়টি মামলার বাদী স্বপন কুমার দাস চরফ্যাশন থানা পুলিশকে জানালেও তারা এরিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। ভাতিজার জমি এবং পার্শবর্তী জমি বলে টাকা দাখীল করেছেন স্বপন কুমার দাস। তার দাবী হচ্ছে তার পাশের জমি এবং পৈতিক সম্পত্তি থাকায় এটার দাবী তার। এখন আদালত যা স্বিদ্ধান্ত দিবে সেটাই মেনে নিবেন তিনি বলেই কান্নাজরিত কন্ঠে স্বপন কুপার দাস বলেন,আজ বিচাঁর পাচ্ছিনা আমরা,কার কাছে গেলে বিচাঁর পাবো। আদালতের নিষেধাজ্ঞা মানছে না এবং পুলিশ কোন সহযোগীতা করছে না। জমিতে গেলে সন্ত্রাসীরা জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। থানায় জিডি করায় সন্ত্রাসীদের হুমকিতে আতংকের মধ্যে কাটছে আমাদের।
এবিষয় জমিতে লাগিয়ে রাখা সাইনোর্ডের নাম ও নাম্বার দেখে জমির দাবীকৃত মালিক মো: মামুন বলেন,ভাই আমরা ৩/৪জনে মিলে জমিটা ক্রয় করেছিলাম,এখন আমরা জমির মালিক নই। একক মারিক হচ্ছে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান সোহাগ। তবে আমরা জমি ক্রয় করেছি পার্থ স্বারথী দাস এর কাছ থেকে। স্বপন কুপার দাস একজন কারাপ মানুষ। সবার জমিতেই একটা ঝামেলা বাজিয়ে রাখাই তার কাজ।অপরদিকে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান সোহাগ বলেন,আমি ক্রয় সুত্রে মালিক। পার্থ স্বারথী দাস থেকে ক্রয় করেছি। জোর করে কিছু করিনি। বৈধ ভাবেই মালিক হয়েছি। নিষেধাজ্ঞার বিষয় কিছুই জানি না আমরা। আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবে তাই মেনে নিব। আইন সবার জন্যই সমান।
এবিষয় জমির মালিক পার্থ স্বরথী দাস বলেন,আমি ক্রয় করে মালিক হয়েছি। আমার চাচা স্বপন কুমার দাসকে জমি ক্রয় করে রাখার জন্য বলেছি,সে রাজী না হয়ে উল্টো জমি তার দাবী করে আমাকে হয়রানী করে আসছিলো। কেউ জমি ক্রয় করতে চায়নি। এখন আমি জমি বিক্রয় করেছি আমার ইচ্ছামতোই। কারো চাপে পরে নয়। আমার চাচা আমাদের জমি জোর করে দখল করে রেখেছে যা উদ্ধার করতেও পারিনি।
এবিষয় চরফ্যাশন থানার ওমি মো: মুরাদ হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,কেউ সহযোগীতা চাইলে ২৪ঘন্টা শান্তিশৃংখলা বজায় রাখার চন্য ব্যবস্থা নিতে পারি। এর পরে না। বাদী পক্ষকে এজন্য আদালতে আবেদন করতে বলেন। নিষেধাজ্ঞার বিষয় আদালতকেই জানাবে হবে। নিষেধাজ্ঞা অম্যান্য করলে কোর্ট ভায়লেশান মামলাকরবে। আদালততো খোলা।
ছবির ক্যাপসন: ভোলার চলফ্যাশনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধীয় জমিতে ওয়াল নির্মান করে বালু ভরাটের দৃশ্য।