চরফ্যাশন প্রতিনিধি,ভোলা নিউজ২৪ডটনেট।। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া নতুন স্লুইজ সংলগ্ন পূর্ব পাশে মাঝ নদীতে ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় চরফ্যাশনের বারেক মাঝি ও আব্দুল ব্যাপারির দুটি ট্রলারের মাঝি মাল্লাদের উপর হামলা ও ৩০লাখ টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় বারেক মাঝির ট্রলারের ১০জন মাঝিমাল্লা গুরুতর আহত হলে খবর পেয়ে আব্দুল বারেক ব্যাপারি,ফারুক,মনির ও জামাল ব্যাপারী ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহতরা হলেন, বারেক মাঝি (৩০) খলিল ব্যাপারী (৩৫) জাহাঙ্গীর হোসেন (৬০) ইসমাইল (২৫) শামিম (২৪) রাসেল (৩০) মাইনুদ্দিন(২৫)। এছারাও প্রতিপক্ষের ধারালো আঘাতে জেলে শিরাজ উদ্দিন (২০) এর মাথা ও কানে গুরুতর জখম হওয়ায় তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
এসময় জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার মনিরুজ্জামান বলেন, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের ঔষধ চলছে আর শিরাজ নামের একজন রোগীর মাথায় জখম ও একটি কান কেটে যাওয়ায় তাকে বরিশাল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এবিষয়ে আহত বারেক মাঝি বলেন, আমার নৌকায় প্রতিপক্ষ লালমোহন লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ফাতেমাবাদ গ্রামের মানিক মাঝির ছেলে সাদেক মাঝি(৪৫) এর নেতৃত্বে খালেক মাঝি ও নুরনবীসহ তাদের শতাধীক মাঝিমাল্লা এবং ঘাটের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা মিলে মাঝের চরে আমাদের উপর দেশিয়ো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে অতর্কিত হামলা করে আমাদের ১০জন জেলেকে আহত করে এবং আমাকে অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে মেরে মাথা ও হাত এবং পায়ে ফুলা জখম করে।
এসময় আমার নৌকার ইঞ্জিন চালিত ডিজেল, মাছ, টাকা পয়শা, জাল ও জেলেদের মোবাইলসহ আমার নৌকাটি নিয়ে যায়, পরে স্থানিয়রা আমাদের উদ্ধার করে। আব্দুল হক ব্যাপারী বলেন, প্রতিপক্ষ সাদেক মাঝি ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাশীদের অত্যাচারে আমার নৌকার মাঝিমাল্লারা দৌরে মাঝের চরের বাগানে গিয়ে আত্মগোপন করে এসময় সাদেকের নেতৃত্বে আমার নৌকার ডিজেল,মাছ,জাল, টাকা পয়শা ও জেলেদের মোবাইলসহ আমাদের দু’টি ট্রলারের প্রায় ৩০লাখ টাকার বেশি মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং আমার নৌকার ইঞ্জিন ও ঘিয়ার লোহার রড ও শাবল দিয়ে পিটিয়ে ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শামসু,নুর ইসলাম মাঝি, ওসমান মাঝি ও হেলাল মাঝি জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪.৩০ মিনিটের সময় সাদেক মাঝি ও খালেক মাঝি ও নুরনবীর নেতৃত্বে জালপাতাকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সাদেক মাঝিকে এ বিষয়ে জানতে ফোন করলে তার মুঠো ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে (৯ অক্টোবর) বুধবার চরফ্যাশন সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় চরফ্যাশন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আরেফিন এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা নদীতে হামলা ও লুট সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি মামলার প্রস্তুতি চলছে তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে অপরাধি যেই হোকনা কেনো তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে।