চরফ্যাশন প্রতিনিধি :ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট :
চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার জাহানপুর ইউনিয়ানের বহুল আলোচিত আটকপাট বাজার পরিচালনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৭ (জানুয়ারি) শনিবার । সকাল ৮টা থেকে দক্ষিন জাহান পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে বিকাল ৩টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। বাজারের প্রায় ৩২৯ জন ভোটার প্রত্যক্ষ ভোটে তিন বছরের জন্য তাদের ব্যবসায়ী নেতা নির্বাচন করবেন। নির্বাচনে সভাপতি ১, সহ-সভাপতি ১, সাধারণ সম্পাদক ১, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ১, সাংগঠনিক সম্পাদক ১, প্রচার সম্পাদক ১, অর্থ সম্পাদক ১, এবং তিনটি ওয়ার্ডে তিনজন করে ৩ জন সদস্যসহ মোট ৯ টি পদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ৯ টি পদের বিপরীতে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পদাধিকার বলে জাহানপুর ইউনিয়নের চেয়ার ম্যান আলহাজ্ব নসু মিয়া বাজারের পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রার্থীরা ব্যবসায়ীদের মন জয় করতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। প্রচারণায় প্রার্থীরা ছাড়াও তাদের পক্ষে একাধিক ব্যবসায়ী অংশ নিচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা একে অপরে যুক্তি করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কাকে তাদের নেতা নির্বাচিত করবেন। প্রার্থীরা কে কোন দলের সমর্থক, কার সাথে প্রশাসনের ভালো সম্পর্ক, কাকে ভোট দিলে ব্যবসায়ীদের বিপদে পাশে পাওয়া যাবে, দূর্নীতিমুক্ত থেকে বাজারের উন্নয়ন করবে যে, এরকম নেতৃত্ব চান ব্যবসায়ীরা। সেক্ষেত্রে প্রার্থীরাও নিজেদের ইশতেহার নিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন। বাজারটির দীর্ঘদিন পর নির্বাচন হওয়ার সুবাদে বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ। ব্যবসায়ী ছাড়াও সকাল থেকে গভীর রাত অবধি প্রার্থীদের পক্ষে স্বজনেরাও প্রচারণা চালাচ্ছেন অবিরাম।জানা গেছে, উপজেলার ঐতিহ্যবাহি এই বাজারটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০০৯ সালে। ওই সময় নির্বাচনে ত্রিবার্ষিক কমিটি গঠন করা হলেও মেয়াদ শেষে আর কোনো কমিটি ছিল না।নির্বাচনে সভাপতি পদে সাসছুউদ্দিন মিয়া (ছাতা), জয়নাল আবদীন মাঝী (হারিকেন), আঃজব্বার (গরুর গাড়ী) সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃমিজান মাঝী (মাছ), মোঃহান্নান মিয়া (ফুটবল), সাংগঠনিক পদে সোহেল (মাই) সাহে আলম (দোয়াত কলম) সদ্যস পদে বাহউদ্দিন (টিওয়াবল)সেলিম কসাই (মাইক) আমজাদ (তালগাছ)কামরুল (মাইক )প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।আটকপাট বাজারের নির্বাচন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আলহাজ্ব নসু মিয়া বলেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকল প্রস’তি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের সার্বিক পরিসি’তি নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকল প্রার্থী ও ভোটারদের সহযোগিতা কামনা করছি।এইদিকে সাধারন সম্পাদক পদের প্রাথী মিজান মাঝি আভিযোগ করেন যে, আমার প্রতি পক্ষ আমাকে নির্বাচনী ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ব্যবসায়ী ভোটারদের কাছ থেকে বাজারের উন্নয়ন করার কথা বলে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। ভোটারদের সাথে আলাপ করলে তারা জানান সাধারণ সম্পাদক পদে মিজান মাঝি মাছ মার্কার সমর্থণ ৮০% বেশি এগিয়ে রয়েছে । মিজান মাঝির সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচন হলে আমি ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে জয়ী হব।