ঘুর্নীঝড়ের প্রভাবে ভোলায় ঝড়ো বাতাস বৃস্টি,বিধ্বস্ত ঘর-বাড়ি

0
364
মো: আফজাল হোসেন।। ঘুর্নীঝড় বুলবুলের প্রভাবে ভোলার লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলায় অন্তত অর্ধ শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত ও ব্যাপক গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। এসময় গাছ ও ঘরের নিচে চাপা পড়ে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে ভোলা সদর,লালমোহন ও চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতরাত থেকে হঠাৎ করেই ভোলায় ঝড়ো বাতাস আর বৃস্টিপাত শুরু হয়। মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত মানুষজন পার্শবর্তী সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নেয়। এসময় ভোলার চরফ্যাশন ও লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ,পেয়ারি মোহন ও চর উমেদ নামক স্থানে ঝড়ের ফলে অন্তত অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি সম্পুর্নরুপে বিধ্বস্ত হয়েছে। ব্যাপক গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে। গাছ উপড়ে ঘরের উপর পড়ে এবং গাছের নিচেঁ চাঁপা পড়ে অন্তত ১৫জন নারী-পুরুষ ও শিশু আহত হয়। আহতদের মধ্যে লর্ডহার্ডিঞ্জের একজনকে আশংকাজনক অবস্থায়  দ্রুত ভোলা সদর হাসপাতাল এবং বাকীদেরকে লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এছাড়া জেলায় ব্যাপক ঝড়ো বাতাস ও ভাড়ী বৃস্টিপাত হচ্ছে। এছাড়া গভীর রাত থেকে উত্তাল হয়ে উঠে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী।
এদিকে চরফ্যাশনের চর কুকরী-মুকরীর ব্যবসায়ী মো: হোসেন এর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান,গতকাল তেমন কিছু না হলেও গভীর রাত থেকে প্রচন্ড ঝড়ো বাতাস আর ভাড়ী বর্ষণ হচ্ছে। এর ফলে সাধারন মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পরলে সবাই রাতেই নিরাপদ আশ্রয় সাইক্লোন সেল্টারে ছুটতে শুরু করে। এছাড়া স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদীর পানি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
অপরদিকে ঢালচর এর মাছ ব্যবসায়ী মো: শাহ আলম ফরাজী জানান,প্রচন্ড উত্তাল মেঘনা নদী। বেশ কিছু গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। এছাড়া জলোচ্ছাস ও ঝড়ের ভয়ে বেশ কিছু মানুষ উচুস্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
মনপুরা সিপিপি এর ওয়ারলেস অপারেটর মো: সহিদুল ইসলাম জানান,ঝড়ো বাতাস ও বৃস্টিপাত এর ফলে রাত থেকেই মানুষেরা সাইক্লোন সেল্টারে আসতে শুরু করে। এর আগে প্রশাসনের লোকজন গিয়ে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয় আসার অনুরোধ করলেও তখন কম সংখ্যক আসে। তবে রাতে ঝড় শুরু হলে দ্রুত মানুষেরা নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্য ছুটে।

LEAVE A REPLY