গাজীপুরে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ, ভাঙচুর-অবরোধ

0
83

ভোলা নিউজ ২৪ ডটকম ।। গাজীপুরের লে-অফ ঘোষণাকৃত এক পোশাক কারখানা চালু করার নির্ধারিত তারিখ ঘোষণা এবং শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধের দাবিতে ওই কারখানার শ্রমিকরা আজ সোমবারও বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে। উত্তেজিত শ্রমিকরা পাশের কয়েকটি কারখানা ভাঙচুর করেছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল এবং টায়ারে অগ্নিসংযোগ করেছে। পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ সদস্যসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৫টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে।

 

গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার জানান, গত ৩১ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া এলাকার স্টাইলিশ গার্মেন্টস কারখানাটি ১ এপ্রিল থেকে লে-অফ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। অথচ কারখানাটিতে ১ এপ্রিলের পরও কিছুদিন পর্যন্ত উৎপাদন অব্যাহত ছিল। কারখানাটি কবে নাগাদ খোলা হবে তা ঘোষণা দেয়নি মালিকপক্ষ। কারখানাটি লে-অফ করার আগে ৩০ জন শ্রমিকের বেতন এবং ৮০ জন স্টাফের ৬০ শতাংশ বেতন বকেয়া ছিল। শ্রমিকরা ওই কারখানা চালু করার নির্ধারিত তারিখ ঘোষণা এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনভাতাসহ পাওনাদি পরিশোধের দাবিতে গতকাল রোববার বিক্ষোভ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে। কিন্তু তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় এবং মালিকপক্ষের সাড়া না পেয়ে শ্রমিকরা আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে কারখানার সামনে এসে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করে।

গাজীপুরে আজ সোমবার পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ ও অবরোধ। ছবি : এনটিভি

গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জালাল উদ্দিন জানান, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা স্টাইলিশ কারখানার পাশের ভলমন্ট ফ্যাশন, ক্রাউন ফ্যাশন, টেকনো ফাইবার পোশাক কারখানার কর্মরত শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রেখে তাদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায় এবং ওইসব কারখানায় ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে ওই কারখানাগুলোর দরজা জানালার কাঁচসহ বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর হয়। একপর্যায়ে তারা ক্রাউন ফ্যাশন কারখানার সামনে মহাসড়কের পাশে পার্কিং করে রাখা তিনটি মোটরসাইকেল ও আটটি বাইসাইকেল জড়ো করে সেগুলোতে অগ্নিসংযোগ করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধকারীদের মহাসড়কের ওপর থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়তে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশ অবরোধকারীদের লাঠিপেটা ও ধাওয়া করলে শ্রমিকদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এতে পুলিশসহ অন্তত আটজন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৫টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়ে বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

LEAVE A REPLY