ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আগামী বৃহস্পতিবার ৫ জুলাই সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। পাশাপাশি একই দাবিতে ৯ জুলাই ঢাকায় প্রতীকী অনশন করবে বিএনপি।
আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচির কথা জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার আইনি বিষয় নিয়ে কথা বলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনি আচরণ এখন নির্বাহী ক্ষমতার ওপর নির্ভর করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। তাঁর যে জামিন, যে সুবিধা পাওয়ার কথা সেটা না দিতে সরকার ন্যক্কারজনকভাবে অপকৌশল গ্রহণ করছে। সরকার এই প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে চায়। হাইকোর্টে তাঁর মূল মামলায় জামিন হলেও বের হতে পারছেন না খালেদা জিয়া।
মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, অনেকগুলো মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনকে মিথ্যা ঘটনার ওপর তাঁকে আসামি করা হয়েছে। জামিন বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করে কারাগারে দীর্ঘস্থায়ীভাবে আটক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। হেন কাজে আমরা ঘৃণা ও অবিলম্বে ন্যক্কারজনক কাজ থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সরকারের উদ্দেশে খালেদা জিয়ার আইনি প্রাপ্যতা দেওয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়ার মামলাগুলোর ব্যাপারে যে আচরণ, তাতে সর্বোচ্চ আদালতের ওপর আস্থায় চিড় ধরে গেছে।
কর্মসূচির বিষয়ে মির্জা ফখরুল জানান, আগামী ৫ জুলাই বৃহস্পতিবার সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে জেলায় জেলায় ও সদরগুলোয় সুবিধা মতো সময়ে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা ১১টায় সমাবেশ হবে। এরপর ৯ জুলাই প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে অনশন পালন করা হবে। রাজধানীর প্রেসক্লাব বা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সামনে তা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খান।