মো: আফজাল হোসেন/দুলাল, লালমোহন থেকে ফিরে ।। ভোলা-৩ আসনের আওয়ামী লীগ সমর্থীত প্রার্থী বর্তমান এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বিএনপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম এর করা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা সম্পর্কে করা অভিযোগ নিয়ে বলেন,যারা প্রতিনিয়ত সন্ত্রাস,চাঁদাবাজী করে বেড়াতেন তাদের বিরুদ্ধে সুনিরদিস্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। যাদের নামে ওয়ারেন্ট আছে আইনশৃংখলা বাহিনী তাদের আইনের আওতায় আনছে। এছাড়া তিনি এলাকায় এসে অতীত কৃতকর্মের জন্য মেজর হাফিজকে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানান।
আজ দুপুরে ভোলার লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন,যখন প্রার্থীরা যখন নির্বাচনী কর্মকান্ডে ব্যাস্ত,কমিটি গঠন নিয়ে ব্যস্ত তখন মেজর হাফিজ এলাকায় না এসে ঢাকায় বসে সাংবাদিক সম্মেলন করে বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে ব্যস্ত। নির্বাচনী কাজ এবং এলাকায় আসতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। তিনি না আসলে কিভাবে বুঝবেন। তিনি মেজর হাফিজকে এলাকায় আশার আহবান জানান।
শাওন আরো বলেন, এই আসেনের বিএনপি প্রার্থী মেজর হাফিজ জনরোষের ভয়ে এলাকায় না এসে ঢাকায় বসে মিথ্যাচার করছে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছেন। আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন লিখিত বক্তব্য তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালের ১লা অক্টোবর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন আলম বাজার কেন্দ্রে আওয়ামীলীগ কর্মী খোরশেদকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যা করেন মেজর হাফিজ। নির্বাচনের পরে সহিংসতা ও সন্ত্রাসের উৎসবলীলায় মেতে উঠেন মেজর হাফিজ। সৃষ্টি করেন মৌমাছি বাহিনী, মশামাছি বাহিনী, বীরবিক্রম বাহিনী, মার্শাল বাহিনী,টর্নোডোসহ বিভিন্ন বাহিনী।
যাদের তান্ডবে নিহত হন কালমার মোতাহার। সম্ভ্রম হারান গর্ভবর্ত উজলা, শেফালী, আট বছরের শিশু রিতা রানী। তার নির্দেশে আওয়ামীলীগ করার অপরাধে গজারিয়ার মালেকের চোখ দুটি উৎপাটন করা হয়। মেজর হাফিজ এই এলাকার বংশীয় ছেলেদের হাতে তুলে দিয়েছেন রামদা, হকিষ্টিক, বগিদাসহ আগ্নেয়াস্ত্র। তার গঠিত বাহিনীর নিয়মিত রুটিন ওয়ার্ক ছিল সন্ত্রাস,চাঁদাবাজী, ছিনতাই ও ধর্ষনের মত বিভিন্ন আপরাধমূলক কর্মকান্ড। দীর্ঘদিন এলাকার সাথে যোগাযোগ না থাকার কারনে মেজর হাফিজ ভেবেছেন তার এসকল অপরাধের কথা মানুষ ভূলে গেছেন।
অন্য প্রার্থীরা যখন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত তখন মেজর হাফিজ এলাকায় না এসে ঢাকায় বসে সাংবাদিক সম্মেলন করে মিথ্যা, বানোয়াট, ও ভিত্তিহীন অভিযোগে ব্যস্ত। মেজর হাফিজ অভিযোগ করেছেন তাকে নির্বাচনী কাজে বাধা দেয়া হচ্ছে, এলাকায় আসতে দেয়া হচ্ছে না। সে যদি এলাকায় আসতেন, তাকে যদি কেউ বাধা দিত বা তার গাড়ী বহরে কেউ হামলা করতো তাহলে তিনি বলতে পারতেন এলাকায় আসার পরিবেশ নাই। তিনি অভিযোগ করেছেন তার বাসা বাড়ীতে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। অথচ আপনারা যদি তার বাড়ীতে যান দেখতে পাবেন কি সুন্দর ও চমৎকার বাড়ী। দশ বছর এলাকায় না আসলেও নির্বাচনকে সামনে রেখে তার বাড়ী রং করেছেন।
নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন মেজর হাফিজের উদ্দেশ্যে বলেন আপনি ঢাকায় বসে মিথ্যা অভিযোগ না করে এলাকায় আসুন, আপনার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হন এবং মানুষের কাছে ক্ষমা চান।
সংবাদ সম্মেলনে অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সরকারী শাহবাজপুর কলেজের সাবেক অধ্যাপক বজলুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফকরুল আলম হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক দিদারুল ইসলাম অরুনসহ আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্ধ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্ধ।