কুয়াকাটা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি/ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেট॥
কলাপাড়া ধানখালীতে সপ্তম শ্রেনীর এক ছাত্রী (১৪) অনৈতিক সম্পর্কের ফলে অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এ কিশোরী ছয় মাসের অন্তসত্ত্বা। দারিদ্রতার সুযোগে প্রেম ফাদে ফেলে সহজ সরল মেয়েটির এমন সর্বনাশ ঘটানো হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তবে গ্রামীন জনপদে কে বা কারা এর সাথে জড়িত তা সুষ্ঠু তদন্ত করলেই থলের বিড়াল আসবে। তবে এ ঘটনাকে পুজি করে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ফয়দা হাসিলসহ শত্রুতা উদ্ধারে হয়রানি করছেন এমন আভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের আশ্রাব একাডেমীর সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীর মা জাকিয়া অভাবের তাড়নায় ছোট বেলায় তার এক ভাইকে রেখে অন্যের হাত ধরে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। সেই থেকে তার বাবা নিজাম উদ্দিন অপ্রকৃতস্থ। তখন থেকে মেয়েটি লালিত পালিত হচ্ছে চাচা-চাচীর সংসারে। অন্যের বাড়ীতে ঝুটা ঝিয়ের কাজ করে নিজের জীবন জীবিকায় সাচ্ছন্দ্য আনার চেস্টা করে। এ ঘটনায় পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদলতে প্রতিবেশি কলেজ ছাত্র সাব্বির, সাইফুল এবং শ্রমজীবি রজ্জবকে আসামী করে ওই অন্তসত্তা কিশোরী একটি মামলা দায়ের করেছে। স্থানীয়দের দাবী, ওই কিশোরীর মা জাকিয়ার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় হাত ছিল স্থানীয় ওই প্রভাবশালীর।
ধানখালী আশ্রাব একাডেমির সাবেক শিক্ষক আবদুল হালিম দাবী করেন, সহজ সরল দরিদ্র মেয়েটি অন্তসত্ত্বা হয়েছে এটি সত্যি এবং জঘন্য একটি ঘটনা। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করলেই আসল ঘটনা বের হয়ে আসবে। মামলায় তিন জনকে আসামী করা হয়েছে। এরমধ্যে রজ্জব মেয়েটির দুর সর্ম্পকের মামা ।
স্থানীয় নাজমা বেগম ডিএনএ টেস্টের দাবী করে বলেন, পুর্ব শত্রুতা জের ধরে সাব্বির এবং সাইফুলকে এ ঘটনার জন্য দোষারুপ করা হচ্ছে। তার এমন শত্রুতা উদ্ধারে বর্তমানে এ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন বন্ধ হয়ে আছে। দোষী যেই হোক দরিদ্র এ মেয়েটির কথা বিবেচনায় রেখে তার শাস্তি হওয়া উচিৎ। মেয়েটির পরিবার বহুবার আপোষ মিমাংসা করার জন্য দেন দরাবার করেছে। মিথ্যা অভিযোগ তুলে নেয়ার কথা বলেছে। কিন্তু এনিয়ে তার নিজ স্বার্থরক্ষায় স্থানীয় এক প্রভাবশালী মহল উঠে পড়ে লেগেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন এ ঘটনায় স্থানীয় প্রভাবশালী মোস্তফা খা’র পুত্র মামুন খান ও ওই কিশেরীর চাচাতো ভাই বশির এর সাথে জরিত রয়েছে। তা সুষ্ঠু তদন্ত করেলেই বেড়িয়ে আসবে বলে তিনি জানান।
ওই কিশোরীর চাচী তাসলিমা বেগম জানান, এ নিয়ে দু’দফা শালিশ বৈঠক হয়েছে। তখন চিকিৎসার জন্য এক লাখ টাকা ধার্য করে হয়েছিল। স্থানীয় চৌকিদার রুবেল জানায়, বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে। তবে থানা থেকে বলেছে মেয়েটির যাতে কোন সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে।
ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদার জানান, বিষয়টি শুনেছি। এনিয়ে তিন জনের নামে মামলা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় দোষী যেই হউক তার শাস্তি হওয়া উচিৎ।
কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) আলী আহম্মদ বলেন, আদালতের নির্দেশনা পেয়েছি। তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।