ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। কখনো জিনের বাদশা হয়ে ভয় দেখিয়ে, কখনো ওয়েলকাম পার্টির পরিচয়ে, আবার কখনো লটারির প্রলোভন বা বিকাশের বস সেজে টাকা চাইতেন তাঁরা। টাকাও পাঠাতেন সাধারণ মানুষজন। তবে টাকা হাতে পেয়েই বন্ধ হয়ে যেত সিম।
এমনই কায়দায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মিয়াপাড়া গ্রামের বিল্লাল মাতুব্বর (৩২), ইমরান (২২) ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উৎরাইল গ্রামের মো. শের আলম ফকির (৩৪)।
আর তাঁদের এই পুরো প্রতারণা কৌশলের মাধ্যমই ছিল মোবাইল ফোন। টাকা পেতেন বিকাশে। গতকাল সোমবার রাতে পাঁচ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে এই প্রতারক চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুর।
ফরিদপুরে পিবিআইয়ের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার জানান, গতকাল সোমবার ভোররাতে পাঁচ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে মো. শের আলম ফকিরকে মাদারীপুরের শিবচর থেকে এবং বিল্লাল মাতুব্বর ও ইমরানকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মিয়াপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল ফোন ও দুটি সিম উদ্ধার করা হয়।
কানাই লাল সরকার জানান, বিল্লাল মাতুব্বর ও শের আলম ফকির উভয়ই বিকাশের এজেন্ট। আর ইমরান ব্যক্তিগত বিকাশ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজসে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন রকমের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবৈধ উপায়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি আসামিরা বিকাশের বস সেজে ব্যবসায়িক সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে ফরিদপুর সদরের কমলাপুরের বিকাশ এজেন্ট মো. মাহাবুবুর রহমানের কাছ থেকে ১৪ হাজার ৯৯৭ টাকা হাতিয়ে নেন।
এ ঘটনায় ২ মার্চ ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন মাহাবুবুর রহমান। এই মামলার ভিত্তিতেই প্রতারকদের সন্ধান শুরু করে পিবিআই ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে বলে স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন পিবিআই কর্মকর্তা।