ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট: দেশের জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে রোহিঙ্গা ইস্যু এবং অন্যান্য সময় জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টিতে বিএনপির সদিচ্ছার প্রমাণ পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদলের আসন্ন চীন সফর নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা করতে বিএনপির সদিচ্ছা বা আন্তরিকতা আছে এমন প্রমাণ আমরা এ পর্যন্ত পাচ্ছি না। তারা এ সমস্যাকে জাতীয় স্বার্থের দিক থেকে বিবেচনা করে এ সমস্যা সমাধানে কতটা আন্তরিক সেটা আগে দেখতে হবে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিভক্তি সৃষ্টি করছে বিএনপি। তারা ২০ দিন পরে ত্রাণ নিয়ে কক্সবাজার গেল। ত্রাণের ট্রাক সাজিয়ে মিডিয়াকে কল করেছে। মিডিয়াকে নিয়ে তারা ওই (কক্সবাজার) দিকে যাবে, কিন্তু কোনো নিয়ম মানবে না। তারা তো প্রশাসনের সাথে কোনো যোগাযোগ করে নাই। এত বিক্ষুব্ধ জনসমুদ্রের মধ্যে তারা ২০ ট্রাক ত্রাণ নিয়ে যাবে। এতে সেই ত্রাণের না কোনো সিকিউরিটি থাকবে, না তাদের কোনো সিকিউরিটি থাকবে। সারা দুনিয়ায় শেখ হাসিনার প্রশংসা দেখে তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে। সারা দুনিয়া বলে এক কথা, আর বিএনপি বলে আরেক কথা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ত্রাণ প্রদানে কাউকে বাধা দিচ্ছে না। বিএনপির ত্রাণ প্রদানে নিয়ম মেনে গেলে কোনো বাধা দেওয়া হবে না।’ রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনকে বাংলাদেশ এখনো পাশে পায়নি, চীন সফরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে বিষয়ে আলোচনা জাতিসংঘে হচ্ছে সেই আলোচনা তো এখানে অবশ্যই আসবে। আর চীন বিষয়টি অস্বীকারও করেনি। যার প্রমাণ হলো জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সর্বসম্মতভাবে বিবৃতি দিয়েছে।’
রাশিয়া এ ইস্যুতে মিয়ানমারকে সমর্থন করছে বিষয়টি কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘রাশিয়ার বিবৃতি নিয়ে শেষ কথা বলার এখনো সময় আসেনি। রাশিয়া ইন্টারফেয়ারের (হস্তক্ষেপ) কথা বলেছে। আমি আমার দেশে কারো ইন্টারফেয়ার চাইব?’ তিনি বলেন, ‘আজকেও প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডেকেছেন। তিনি সবাইকে নিয়ে ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেছেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপি চেয়ারপারসন লন্ডনে বসে কয়েকটি দেশের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। তিনি লন্ডনে বসে কথা বলছেন কিন্তু এ সময় তিনি তাঁর দেশে আসার তারিখ বারবার পরিবর্তন করছেন। আগে জানতাম তিনি ঈদের পরেই আসবেন কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে তিনি এ মাসে আসবেন না। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান জাতীয় সমস্যা বিবেচনা করেন কিন্তু দেশে থেকে সমস্যা সমাধানে কোনো ভূমিকা রাখবেন না। তিনি বিদেশে বসে কথা বলছেন, যেখানে দেশের বাস্তবতা তিনি বুঝতে পারছেন না। জাতীয় স্বার্থে আমরা সবার সহযোগিতা চাই।’
এর আগে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শাম্মী আহমেদ, আফজাল হোসেন, অসীম কুমার উকিল, দেলোয়ার হোসেন, শ ম রেজাউল করিম, শামসুন্নাহার চাঁপা, বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার, নজিবুল্লাহ হিরু, রিয়াজুল কবির কাওছার, উপাধ্যক্ষ রেমণ্ড আরেং।
