সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দেখতে সিএমএইচে যান সাবেক মন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ।
সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় তিনি হাসপাতালে আসেন। এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামিম হায়দার পাটোয়ারী এমপি ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা এমপিসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দেখতে সিএমএইচের আইসিইউতে যান। ওবায়দুল কাদের হাসপাতালে এইচএম এরশাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। পরে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ করেন।
এদিন বেলা ১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তার ছোট ভাই ও পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
জিএম কাদের বলেন, পল্লীবন্ধু এরশাদের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত আছে। গতকাল (রোববার) থেকে তার অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি। তার অবস্থা স্থিতিশীল থাকা মানেই শুভ লক্ষণ।
প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সূত্র জানায়, সাবেক রাষ্ট্রপতির ফুসফুসে পানি জমেছে, যা বের করা জরুরি। তবে তার ফুসফুসের পানি বের করলে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটতে পারে।
এরপরও চিকিৎসকরা তার ফুসফুস থেকে পানি অপসারণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যরা।