এম শাহরিয়ার জিলন ॥ ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশায় মাদ্রাসার জমি দখল করে অবৈধ দোকান ঘর নির্মান করা হলে তা উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশে ভেঙ্গে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ইউপি পরিষদের সামনে ইলিশা বাঘারহাওলা নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। অবৈধ দোকান ঘর ভেঙ্গে দেওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
জানা গেছে, সদর উপজেলার ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ইউপি পরিষদের সামনে ইলিশা বাঘারহাওলা নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার মাঠের জমিতে অবৈধভাবে জোরপূর্বক দোকানঘর নির্মান করে স্থানীয় জয়নাল আবেদিনের ছেলে প্রভাবশালী নেতা ডাঃ আলমগীর হোসেন ওরফে আবদুর রহমান। গত ফেব্রুয়ারী মাসে ডাঃ আলমগীর হোসেন দোকানঘর নির্মান করলে সে সময় মাদ্রাসার সুপার বাধা দেন। কিন্তু তাতে কোন তোয়াক্কা না করে আলমগীর হোসেন দোকানঘর নির্মান কাজ শেষ করে। মাদ্রাসার সুপার মাওঃ মোঃ মহিবুল্লাহ অবৈধ দোকানঘর নির্মান কাজে বাধা দেওয়ায় ডাঃ আলমগীর হোসেন তার বিরুদ্ধে ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে ৭ ধারায় মামলা দায়ের করেন। পরে বিষয়টি সুপার মাওঃ মহিবুল্লাহ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাছনাইন আহমেদ হাসান মিয়া, জন প্রতিনিধি, সুশিল সমাজ, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশারেফ হোসেন ও ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুছ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদ্রাসার মাঠে নির্মিত অবৈধ দোকানঘর ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেন। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান হাছনাইন আহমেদ হাসান মিয়া, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরায়ার্দ্দী মাস্টার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশ পেয়ে শিক্ষার্থীরা অবৈধ দোকান ঘরটি ভেঙ্গে ফেলে।
একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, মাদ্রাসার জমি দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালী ডাঃ আলমগীর হোসেন অবৈধ দোকান ঘর নির্মান করে। যার ফলে মাদ্রাসার মাঠে খেলাধুলা করতে আমাদের সমস্যা হতো। দোকানটির কারণে রাস্তা থেকে মাদ্রাসাটি দেখা যেতো না। অবৈধ দোকান ঘর ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেওয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।এ ব্যাপারে ডাঃ আলমগীর হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।