ভোলা নিউজ২৪ডটকম॥ভোলা সদরের ২নং ইলিশা ইউনিয়নে রাতের আধারে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুর ও পাহারাদারকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার (১৬ মে) সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নের ইউপি পরিষদ সংলগ্ন ইলিশা বাঘার হাওলা নেছারিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন সরদার গত শনিবার (২১ মে) মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (১৬ মে) রাতে মোঃ মিজানুর রহমান জমাদার, মোঃ আল আমিন, ওবাইদুর রহমান, মোঃ আবু তাহের দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ইলিশা বাঘার হাওলা নেছারিয়া মাদ্রাসার কক্ষে প্রবেশ করে দুটি ফ্যান ভাংচুর করে। ভাংচুরের শব্দ পেয়ে লাইব্রেরীতে থাকা পাহারাদার মোঃ শাজাহান বেরিয়ে আসলে হামলাকারীরা জোরপূর্বক লাইব্রেরীতে প্রবেশ করে অফিসিয়াল কাগজপত্রসহ অন্যান্য মালামাল ভাংচুর করে। এসময় বাঁধা দিলে হামলাকারী মিজানুর রহমান, আল আমিন, ওবাইদুর রহমান, আবু তাহের মাদ্রাসার পাহাদার শাজাহানকে এলোপাথাড়ি মারধর করে ও গলা চেপে ধরে। শাজাহানের আত্মচিৎকার শুনে পার্শ্ববর্তী লোকজন আসলে হামলাকারীরা শাজাহানকে হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যায়। পরে লোকজন পাহারাদার শাজাহানকে আহত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। মাদ্রাসার অফিসিয়াল কাগজপত্র, আসবাবপত্র ভাংচুরের ফলে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়। মাদ্রাসার সুপার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মাদ্রাসার সভাপতি এবং ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জকে বিষয়টি জানান। সুপার বাদী হয়ে এ ব্যাপারে ভোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে গত শনিবার (২১ মে) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন সরদার মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন। এসময় মাদ্রাসার সভাপতিসহ ম্যানেজিং বডির সদস্য, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ইলিশা বাঘার হাওলা নেছারিয়া মাদ্রাসার সুপার মোঃ মহিবুল্লাহ বলেন, মোঃ মিজানুর রহমান জমাদার, মোঃ আল আমিন, ওবাইদুর রহমান, মোঃ আবু তাহের গংরা গত ১৬ মে রাতে মাদ্রাসার কক্ষে প্রবেশ করে কাগজপত্র ও আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে। যার ফলে মাদ্রাসার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসময় তারা মাদ্রাসার পাহারাদার শাজাহানকেও বেধড়ক মারধর করেছে। এ ব্যাপারে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তদন্ত করেছেন। এই হামলাকারীরা বিগত দিনেও মাদ্রাসায় হামলা ভাংচুর, গাছ কর্তন, মাদ্রাসার জমি কেটে ড্রেন নির্মান, মাদ্রাসার জমি দখলের চেষ্টা চালায়। ওইসব ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তীতে তারা ভুল শিকার করে ক্ষমা চাওয়ায় স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টি সমাধান করা হয়। এরপরও তারা একেরপর এক অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। আমরা তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোঃ মিজানুর রহমান জমাদার, মোঃ আল আমিন গংদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন সরদার বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে আমরা ওই মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।