ভোলা নি্উজ ২৪ ডটনেট : মিয়ানমারে কর্মরত অধিকাংশ পশ্চিমা দেশসহ ২০ দেশের রাষ্ট্রদূত এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা গ্রামগুলো পরিদর্শনকালে দেখেছেন যে তাদের বাড়ি-ঘর পুড়ে ছাই। আজ বসতবাড়ির বাসিন্দারা অন্য কোথাও পালিয়ে গেছে এবং তারা সেনাবাহিনীর সহিংসতায় ধ্বংসযজ্ঞের দৃশ্য দেখেছেন।
গতকাল ওই অঞ্চলে মিয়ানমার সরকারের সহযোগিতায় রাখাইন সফর শেষে কূটনীতিকরা বলেন, ‘আমরা দেখেছি গ্রামগুলো পুড়ে গেছে এবং সেখানে কোন মানুষজন নেই… সেখানকার সহিংসতা অবশ্যই থামাতে হবে।’
কূটনীতিকরা বলেন, ‘আমরা ওই সফরে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখেছি’ এবং ‘আমরা আরেকবার আহ্বান জানাচ্ছি সেখানে যেন মানুষ নির্বিঘ্নে বসবাস করতে পারে। পাশাপাশি ওই রাজ্যে জীবনরক্ষাকারী সেবা পৌছাতে হবে এবং অন্য রাজ্যের সাথে কোন বৈষম্য রাখা যাবে না।’
সন্ত্রাসের অভিযোগে রাখাইনের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সেদেশের সেনাবাহিনীর বিশ্বের নৃশংসতম সহিংসতা ঘটনার ৫ সপ্তাহ পর সেখানে বিদেশী কূটনীতিকদের এই সফর ও বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সেনাবাহিনীর উচিত কোন প্রকার বৈষম্য না করে রাখাইন রাজ্যের সকল মানুষের জান-মাল রক্ষা করা। তারা বলেন, এই সহিংসতার বিষযে উচ্চপর্যায়ে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা তদন্ত হওয়া উচিত এবং তাদের এই পরিদর্শন ‘কোন তদন্ত মিশন ছিল না।’
কূটনীতিকরা ‘ইউএন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন’কে রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনের অনুমতি প্রদানের জন্য আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে কূটনীতিকরা বলেন, ‘আরসা ২৫ আগস্ট যে হামলা করেছিল সেজন্য আমরা আবারো নিন্দা জানাই। তবে এজন্যে যে সহিংসতা ও ব্যাপক সংখ্যক মানুষের দেশত্যাগ ঘটেছে তার জন্য গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, স্পেন, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের কূটনীতিকগণ এই সফরে অংশ নেন।