নির্বাচনে আসার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আসুন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন। দেখবেন, কার কত ভোট আছে, কে কত জনপ্রিয়। পরিষ্কার হয়ে যাবে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গুমের বিচার করা সংক্রান্ত বক্তব্যের জবাব দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আজ যাঁরা মানবাধিকার ও গুমের কথা বলেন, খুনের কথা বলেন, আবার বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের বিচার করবেন। কার বিচার করবেন? আপনাদের অনেকের বিচার বাকি রয়েছে। আদালত শুধু প্রচলিত আদালত নয়, ইতিহাসের আদালত, জনতার আদালতও আছে; নিয়তির আদালতও আছে।’
বিএনপি আমলের আলোচিত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২১ হাজার আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীকে হত্যা করেছেন। কত নারীর সম্ভ্রম নষ্ট করেছেন। ভুলে গেছেন, আহসান উল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমাম, শাহ এ এম এস কিবরিয়া এভাবে কতজন…যশোরের সাংবাদিক শামসুর রহমান, খুলনার মানিক সাহা, বালু ভাই, কত হত্যাকাণ্ড এই বাংলায় সংঘটিত করেছেন! এগুলোর বিচার হবে না? এগুলো কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? আওয়ামী লীগের এত নেতা–কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। বিচারের মুখোমুখি আরও বাকি আছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘জামালউদ্দিনকে চট্টগ্রামে অপহরণ করে হত্যা করা হয়। পরে জানা গেল, জামাল উদ্দিনকে হত্যা করেছে বিএনপি। সেই গুমের খবর কি ফখরুল সাহেব জানতেন না? লালবাগে আমাদের মাহফুজ বাবুকে ধরে নিয়ে গুম করেছেন। আজ পর্যন্ত কেউ জানেন না, তাঁর পরিবার জানে না। এর জবাব দেবেন কী ফখরুল সাহেব?’
সেতুমন্ত্রী গুমের বিষয়ে বলেন, ‘সত্যি যাঁরা গুম হয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এমন কোনো ঘটনা থাকলে প্রয়োজনে তদন্ত করে বের করা হবে। এখানে আমাদের কোনো ভয় নেই। নিজের দলের লোকদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে শেখ হাসিনা এ যাবৎ কখনো কুণ্ঠিত হননি। দলের লোক অন্যায় করে বিনা শাস্তিতে পার হওয়ার উপায় নেই।’
কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম।