ভোলা নিউজ২৪ডটনেট।। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে আটক করেছে র্যাব। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ভাটারা এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম।
শনিবার রাতে র্যাব কর্মকর্তা লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম কালের কণ্ঠকে বলেন, নানান দুর্নীতি অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে গত কয়েকদিন ধরে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে ধরার চেষ্টা করছিলেন তারা। এরপর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়ে বারিধারার ওই বাসা থেকে আজ (শনিবার) রাতে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে পাওয়া তথ্য যাচাই বাছাই শেষে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে আজ শনিবার ১১টার দিকে ভাটারা এলাকার একটি বাড়িতে এ অভিযান চালিয়ে প্রথমে বাড়িটি ঘিরে রাখে র্যাব। এরপর ওই বাসায় তল্লাশি চালানো হয়। প্রায় আধাঘণ্টা তল্লাশি শেষে এক বন্ধুর বাসা থেকে রাজীবকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে র্যাব।
এই তারেকুজ্জামান রাজীব হলেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ২০১৪ সালে কাউন্সিলর হওয়ার পরই যুবলীগের এই নেতার অবস্থা বদলে যেতে থাকে। এই কয়েক বছরে তিনি শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে জানা গেছে।
জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকমের্র অভিযোগ পাওয়া গেছে তাঁর বিরুদ্ধে। রাজীবের সব অপকমের্র সঙ্গী যুবলীগ নেতা শাহ আলম জীবন, সিএনজি কামাল, আশিকুজ্জামান রনি, ফারুক ও রাজীবের স্ত্রীর বড় ভাই ইমতিহান হোসেন ইমতিসহ অর্ধশত ক্যাডার।
জানা গেছে, কাউন্সিলর হওয়ার পর রাজীবের লোকজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা পাইন আহমেদকে মারধর করে। ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রী জানার পর মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় রাজীবকে।
কিন্তু পরে তাঁর বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এমনকি তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, সদ্য বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের মাধ্যমে এক কোটি টাকা দিয়ে পদটি নিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকেই খুব বেশি দেখা যায় না রাজীবকে। গ্রেপ্তারের ভয়ে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা জানান।
গত শনিবার দুপুরে সরেজমিনে মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটিতে গিয়ে কথা হয় খান শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে। তাঁর বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন রাজীব। তিনি বলছিলেন, ‘রাজীব আমার বাড়িতে বছর দুয়েক ছিলেন। এখন আমার গলির তিনটি গলির পরই রাজীব নিজেই বিলাসবহুল বাড়ি করেছেন। এমন বাড়ি আমাদের হাউজিংয়ে আর নেই। ’