মো: আফজাল হোসেন ॥ অবশেষে জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ভোলা-১ সদর আসন বিএনপির পার্থীরা প্রচারনায় মাঠে নেমেছেন। তবে হামলা,ভাংচুর,নির্বাচনী কাজে বাঁধার দেয়ার অভিযোগ করে দ্রুত সেনাবাহিনী নিয়োগের দাবী জানান এসব প্রার্থীসহ সাধারন ভোটাররা। নির্বাচন সুষ্ঠ হবে কিনা তা নিয়ে আশংকার কথা জানালেন সাধারন ভোটাররা।
আজ বেলা ১২টায় শহরের মহানপট্রি জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে নির্বাটনী প্রচারনা ও আন্দোলনের অংশ হিসেবে লিফলেট বিতরন শুরু করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ধানের শীষের প্রার্থী গোলামনবী আলমগীরসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। এসময় তারা সাধারন মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দেয়ার পাশাপাশি ধানের শীষের পক্ষে একটি ভোট প্রার্থীনা করেন। একই সাথে বলেন, আপনার মূল্যবান ভোটটির ফলে জুলুম সরকার এর অবসান ঘটনবে। একই সাথে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবে। অত্যাচার নির্যাতন,গুম,খুন আর হত্যাসহ দূর্নীতির হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য ধানের শীষের মূল্যবান ভোট দিন।
আওয়ামী লীগ এত দূর্নীতি করেছে যে সারাবিশ্বে এবছর দ্বীতিস্থান অর্জন করেছে। এসব দূর্নীতিবাজদের বর্জন করুন। যারা দূর্নীতি করে হাজার হাজার টাকা লুটপাট করেছে ,এখন সময় এসেছে ভোটের মাধ্যমে তাদেরকে বর্জন করার। এছাড়া সাংবাদিকদের তিনি বলেন,আমাদের প্রচারনায় সরকারী দল এবং পুলিশ বাঁধা দিচ্ছে। হয়রানী করছে নেতাকর্মীদের। তারা আমাদের স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। অথচ তারা ব্যাপক পুলিশী পাহাড়া আর শোডাউন করে প্রচারনা চালাচ্ছেন। এসব কিছু দেখার কেউ নেই। সব সময় তারা আচরনবিধি লঙ্গন করেই যাচ্ছে।
গোলামনবী আলমগীরকে নিয়ে ধানের শীষ হাতে রাস্তায় নামার সাথে দোকান থেকে ব্যবসায়ীরা এসে তার সাথে কোলাকোলী করেন। প্রানচাঞ্চল্য ফিওে আসতে শুরু করেছে দলীয় নেতাকর্মীদেও মাঝে। শত শত নেতাকর্মীরা স্লোগান স্লোগানে মুখরিত কওে তুলে পুরো এলাকা। এসময় তার সাথে ছলিনে,জেলা বিএনপির সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম খাঁন,সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুমেন,উপজেলা বিএনপির সভাপতি আসিফ আলতাফ, জেলা বিএনপির সাংগছনিক সম্পাদক এনামুল হক,প্রচার সম্পাদক বশির আহমেদ,জেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক তরিকুল ইসলাম কায়েদ,সদস্য সচিব মোঃ কবির হোসেন,জেলা সেচ্ছাসবক দল সাধারন সম্পাদক খন্দকার আলামিন প্রমুখ।
অপরদিকে সাধারন ভোটাররা এসময় প্রশ্ন করেন বলেন যে আমরা কি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে শান্তিতে ভোটটা দিতে পারবো। দেশের মধ্যে এবং ভোলার অন্যসব উপজেলায় যা শুরু হয়েছেে তাতে নির্বাচন সুষ্ঠ হবে কনিা সন্দেহ রয়েছে। এজন্য ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবী জানান ভোটাররা।