সোহেল তাজের স্যুটকেসের তালা ভাঙা হয়েছে কোন এয়ারপোর্টে

0
382

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেটঃ বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিনা অনুমতিতে স্যুটকেসের তালা ভেঙে তল্লাশির অভিযোগ তুলেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ। তিনি ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজে এ বিষয়ে পোস্ট দিয়েছেন। তবে সেখানে তিনি কোন এয়ারলাইন্সে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন তা উল্লেখ করেননি। এছাড়া তার কোনও মালামাল হারানোর কথাও লেখেননি।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক কাজী ইকবাল করিম জানিয়েছেন, কোনও অবস্থায় যাত্রীর উপস্থিতি ছাড়া তার ব্যাগেজের তালা খুলে তল্লাশি করা হয় না।

ফেসবুকে সোহেল তাজ লিখেছেন, ‘ঢাকা বিমানবন্দরে কেউ একজন আমার স্যুটকেসের তালা ভেঙেছে এবং আমার অনুমতি ছাড়াই সেখানে তল্লাশি চালিয়েছে।  স্যুটকেসে আমার বাবাকে নিয়ে লেখা কিছু বই ছিল। আমি ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছিলাম। এ সময় বিমানবন্দরে আমার স্যুটকেসটি খোলা অবস্থায় পাই। আমার নাম স্পষ্টভাবে স্যুটকেসের নেমট্যাগে লেখা ছিল।’ এ লেখার সঙ্গে তিনি স্যুটকেসের ছবিও আপলোড করেছেন।

তার পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে স্যুটকেসের ট্যাগে গন্তব্য লেখা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ট্রানজিট পয়েন্ট দোহা। বাংলাদেশ থেকে দোহা হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রী পরিবহন করে কাতার এয়ারওয়েজ।

এ প্রসঙ্গে কাতার এয়ারওয়েজের এক কর্মকর্তা  বলেন, ঢাকায় শাহাজালালে যাত্রীর ব্যাগ বোর্ডিং হওয়ার পর আর তল্লাশি করা হয় না।  যদি নিরাপত্তাকর্মীরা তল্লাশি করার প্রয়োজন মনে করেন তবে যাত্রীর উপস্থিতিতেই তা করা হয়।  তবে বিশ্বের সব দেশেই যুক্তরাষ্ট্রগামী সব ফ্লাইটের বিশেষভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। দোহা এয়ারপোর্টে ও যুক্তরাষ্ট্রগামী ফ্লাইটে বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। সেক্ষেত্রে কোনও যাত্রীর ব্যাগ সন্দেহজনক হলে দোহা এয়ারপোর্ট অথরিটি তালা খুলে তল্লাশি চালায়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তল্লাশি শেষে যাত্রীকে অবহিত করে ব্যাগে নোটিশ রাখা হয়। আবার কখনও কখনও নোটিশের চিঠি রাখা হয় না।

সোহেল তাজের স্যুটকেস খোলা প্রসঙ্গে এয়ারওয়েজের কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি, তার ব্যাগেজ নিয়ে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে সেটি অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের সহকারী কমিশনার তারিক আহমেদ বলেন, ‘যাত্রীদের ব্যাগেজ বোর্ডিংয়ের সময়  আধুনিক স্ক্রিনিং মেশিনের মাধ্যমে তল্লাশি করা হয়। এরপর কোনও যাত্রীর ব্যাগ খুলে তল্লাশির প্রয়োজন হলে যাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তার উপস্থিতিতেই তল্লাশি করা হয়।  শুধু লন্ডনগামী ফ্লাইটের ক্ষেত্রে রেডলাইন বোর্ডিং এরপরও কিছু কিছু ব্যাগ তল্লাশি করে তবে সেক্ষেত্রেও যাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেই করা হয়। এছাড়া, শাহজালালে অন্য কোথাও ব্যাগ খোলার কোনও সুযোগ নেই। সর্বত্র সিসি ক্যামেরার নজরদারি রয়েছে।’

  তবে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক কাজী ইকবাল করিম বলেন, ‘শাহাজালালে কোনও অবস্থায় যাত্রীর উপস্থিতি ছাড়া ব্যাগেজের তালা খুলে তল্লাশি করা হয় না।  প্রথমে প্রবেশ গেটে প্রাথমিকভাবে ব্যাগেজ স্ক্রিনিং করা হয়।  এরপর বোর্ডিং করার পর পুনরায় ডুয়েল ভিউ স্ক্রিনিং মেশিনের মাধ্যমে তল্লাশি করা হয়।  যদি কখনও প্রয়োজন হয় তবে যাত্রীর উপস্থিতিতেই ব্যাগ খুলে তল্লাশি করা হয়।

কাজী ইকবাল করিম বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য হয়ে যুক্তরাষ্ট্রগামী ফ্লাইটে কঠোরভাবে নিরাপত্তা তল্লাশি করা হয়। ফ্লাইটে যাত্রীদের ব্যাগেজে টিএসএ নির্দেশিত তালা ছাড়া ভিন্ন ধরনের তালা থাকলে অবশ্যই তা ভেঙে তল্লাশি করা হয়।  বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অনেক যাত্রীর ক্ষেত্রে এ ধরনের  ঘটনা  আগেও ঘটেছে ‘

LEAVE A REPLY