ভোলা নিউজ২৪ডটনেট।। মঙ্গলের লাল মাটিতে অভিযান শুরু হয়েছে সেই ২০১২ সাল থেকে। এখনো চলছে সেই অভিযান। নাসার পক্ষ থেকে মঙ্গলগ্রহের লাল মাটির জরিপ করতে যে কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে তাদের প্রত্যেকটিই অপূর্ব সব ছবি ও তথ্য পাঠিয়ে চলেছে। আর এর ফলে বিজ্ঞানীরা লাল গ্রহের ভূতাত্ত্বিক গঠন সম্পর্কে অনেকটাই স্পষ্ট ধারণা করতে পারছেন। কিন্তু স্পষ্টতার মধ্যেও কিছু অস্পষ্টতা রয়ে যায়। সেটা আবার প্রমাণ করল ‘কিউরিওসিটি’ রোবটেরে পাঠানো কিছু ছবি।
‘কিউরিওসিটি’ রোবটের পাঠানো একটি ছবিতে দেখা যায়, চাকতি আকারের এক সাদা গোলাকার বস্তু মঙ্গলগ্রহের মাটির ওপরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নাসা এখনো পর্যন্ত সম্ভাবনার কথা বললেও নিশ্চিত করে এই বস্তুটি সম্পর্কে স্পষ্ট করে কোনো ধরনের ব্যাখ্যা দেয়নি। যদিও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, ‘কিউরিওসিটি’ রোবট আগেও এই একই বস্তুর ছবি একাধিকবার পাঠিয়েছে।
এই ছবি দেখে তারা অবশ্যই খুশি হযেছেন যারা ভিনগ্রহীদের বা এলিয়েনদের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত বিশ্বাস করেন। অন্যদিকে যারা বিশ্বাস করেন না তারা এই ছবিটিকে ভুয়া এবং চক্রান্ত বলেই ঘোষণা করে দিয়েছেন।
এই বিষয়ে নাসার এক মুখপাত্র জানান, একটি সম্ভাবনা হল কোনো পাথরের গায়ে সূর্যের প্রতিফলনের ফলে এমন আলো দেখা যাচ্ছে। দিনের যে সময় এই ছবিটি তোলা হচ্ছে, সেই সময় সূর্যের অবস্থান থাকছে রোবটের উত্তর–পশ্চিমে এবং অপেক্ষাকৃত আকাশের নিচুতে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, আকাশে সূর্যের বিভিন্ন অবস্থানে এই একই ধরনের প্রতিফলন অতীতে একাধিকবার দেখা গেছে। ক্যামেরার ডিটেক্টরে প্রতিফলিত কসমিক রে’র কারণেও এমন উজ্জ্বল আলো দেখা যেতে পারে।
ভিনগ্রহীদের বিষয়ে গবেষক স্কট সি ওয়ারিং জানান, ওই গোলাকার চাকতিটি কোনো আলোর ভ্রম নয়, ওটি ভিনগ্রহীদের মহাকাশযান।
সম্প্রতি নাসা’র রোবটের পাঠানো অধিকাংশ ছবিতেই ওই বস্তুটিকে দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়ে ওয়ারিং বলেন, ইউএফওটি মঙ্গলগ্রহের রোবটটির ওপর নজরদারি চালাচ্ছে। এমন যন্ত্রটিকে বোঝার চেষ্টা করছে। আমি আশ্চর্য হব না যদি এরই মধ্যে ইউএফওটি রোবটকে স্পর্শ করে থাকে। এর আগেও আমি মঙ্গলগ্রহে অনেক সাদা আলো দেখেছি কিন্তু এমন চাকতির মতো বস্তু ঘুরে বেড়াতে দেখিনি।
বিষয়টি নিয়ে তিনি আরো গবেষণা করতে চান বলে জানিয়েছেন ওয়ারিং তার নিজস্ব ওয়েব সাইটে।
সূত্র: দ্য ওয়াল