ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : ভোলায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৯ বছরের ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। শনিবার সকালে শহরের মহাজনপট্টি বাইতুল মুয়াজ্জাম ক্যাডেট মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ভোলায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলামকে থানায় নিয়ে আসে। অভিযুক্ত শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ওই মাদ্রাসার নুরাণী বিভাগের শিক্ষক ও শহরের হোটেল ব্যবসায়ী কামালের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে শহরের মহাজনপট্টি বায়তুল মুয়াজ্জাম ক্যাডেট মাদ্রাসায় শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে বলৎকারের ঘটনায় উত্তেজিত জনতা মাদ্রাসায় প্রবেশ করে অভিযুক্ত শিক্ষককে গনধোলাই দিলে, টহলরত পুলিশের মোবাইল টিম এসে সাইফুল ইসলামকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
নির্যাতনের শিকার ছাত্র জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে শিক্ষক সাইফুল ইসলাম তার সাথে ভাল ভাল কথা বলে রুমে নিয়ে যায়। পরে জোরপূর্বক তার সাথে অনৈতিক কাজ করে। সকাল বেলা ওই ছাত্র বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে বিষয়টি জানায়। এর আগেও ওই শিক্ষক তার সাথে একাধিকবার এরকম করেছে বলেও অভিযোগ করেন ছাত্র।
ভিকটিমের বাবা অভিযোগ করে বলেন, শনিবার সকালে তার ছেলে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে যায়। পরে তাকে জিজ্ঞেস করলে সে পুরো ঘটনা খুলে বলে। আমি লম্পট শিক্ষক সাইফুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। যাতে করে ভবিষ্যতে কেহ এরকম অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে না পারে।
ওই মাদ্রসার আরও কয়েকজন ছাত্রের অভিবাক জানায়, এ পর্যন্ত এই মাদ্রাসায় আরও তিন শিক্ষককে একই ঘটনার জন্য চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা তাজউদ্দিন এর আগে এক শিক্ষককে পিটিয়ে তার মোবাইল ফোন ভেঙ্গে তাকে তাড়িয়ে দিয়েছেন বলেও ঘটনার সত্যতা শিকার করেন মাদ্রাসার প্রধান।
দ্দধু তাই নয়, একই বিষয় নিয়ে মাওলানা তাজুদ্দিনের বিরুদ্ধেও একাধিক ঘটনার প্রমান রয়েছে। শহরের একাধিক মাদ্রাসা থেকে বলৎকারের অভিযোগে মাওলানা তাজউদ্দিনকেও বরখাস্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কেউ কেউ।
মাদ্রসার প্রধান মাওলানা তাজউদ্দিন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি মহল আমাকে সমাজে হেয় করার উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে এসব বলে বেড়াচ্ছেন। আর যদি কোনো শিক্ষক অপরাধ করে থাকে তার জন্য মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি আছে তাদের কাছে বিচার না দিয়ে মারধর করা ঠিক হয়নি। সাইফুল ইসলাম যদি অপকর্ম করে থাকে তার জন্য উচিত বিচার হউক একাট আমিও চাই। তবে মাদ্রাসার যাতে কোনো ক্ষতি না হয়।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে শহরে টহলরত পুলিশের একটি মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ভিকটিমের পরিবার এখনও মামলা করেনি। মামলা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।