ভোলায় ইউপি চেয়ারম্যানের অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন 

0
197

মোঃ আফজাল হোসেন ॥ ভোলায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনিয়ম-দূর্নীতি ও অত্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। এসময় চেয়ারম্যন গ্রুপের লোকজন এসে মানববন্ধকারীদের নাজেহাল করে। একই সাথে জিবননাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান ও তার ক্যাডারদের বিরুদ্ধে।

রবিবার (৮ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান খাঁ’র বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ওই ইউনিয়নের নারী-পুরুষরা অংশ গ্রহন করে তীব্র প্রতিবাদ জানান। এ সময় চেয়ারম্যানের অত্যাচার ও নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন,রাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোঃ ইউসুফ হোসেন,৩নং ওয়ার্ডের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ দুলাল,৪নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন,রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হওয়ার পর মিজানুর রহমান খাঁ’ তার পালিত ক্যাডার বাহিনী দিয়ে এলাকার মানুষকে জিম্মি করে নানা অনিয়ম-দূর্নীতি ও অত্যাচার করে আসছে। এলাকার কেউ তার অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তাদেরকে মিথ্যা চুরি, ডাকাতি ও মাদক মামলায় আসামী করে মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। এছাড়াও চেয়ারম্যান মিজান ইউনিয়ন পরিষদের জেলেদের নামে সরকারি চাল জেলেদের না দিয়ে তার পালিত ক্যাডারদের মাঝে বিতরণ করেন। সব সময় চাউল কম দেয়া ও না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে অত্যাচার নির্যাতন।

গৃহিনীদের জন্য বরাদ্দকৃত ঘর দেয়ার নাম করে মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েও কোন ঘর দেয়নি। তার অনিয়ম নিয়ে কেউ মুখ খুললে তাদেরকে চেয়ারম্যানের পালিত ক্যাডার সাদ্দাম,মাইনুদ্দিন ও নাছির সরদারকে দিয়ে হুমকি-ধামকি ও অত্যাচার করে। এসব নিয়ে এলাকার লোকজনের মধ্যে চরম আতঙ্কে বিরাজ করছে। তার বিশেষ হোন্ডা বাহিনী রয়েছে,যার সব সময় অপকর্ম করে আসছে। আমরা প্রশাসনসহ সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এ জলদস্যু মিজান খাঁ’র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এদিকে মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাবের সামনে চেয়ারম্যানের লোকজন ও মানববন্ধনে আসা লোকদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও উত্তেজনার সৃষ্ঠি হয়। প্রায় আধাঘন্টা ধরে এ উত্তেজনা চলতে থাকে। এসময় মাববন্ধনকারীরা চেয়ারম্যানের নানা অপকর্মের কথা বলতে থাকে। সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ দেয়ার সময় চেয়ারম্যানের লোকজন একজনকে টানাহেচরা করে নিয়ে গিয়ে তাকে হুমকি প্রদান করে। অভিযোগকারী ঐ ব্যক্তি বলেন,চেয়ারম্যান গত শনিবার রাতে ঢাকা থেকে তাকে মোবাইল ফোনে হুমকি প্রদান করে বলেন,তার লাশ নাকি মেঘনার মাছকে খাওয়ানোর হুমকি প্রদান করার অভিযোগ করেন ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের শাহে আলম মজাজন। শুধু তাই নয়,তর মাকে দেয়া সরকারী ঘর অন্য একজনের কাছে বিক্রি করে দেয় চেয়ারম্যান,তার ঘর এবং তার মা আঞ্জু বেগমকে দেয়া ঘর ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ করেন। সাংবাদিকেদের কাছে অভিযোগ দেয়ার সময় চেয়ারম্যানের লোকজন এসে শাহে আলম মহাজনকে টেনে নিয়ে যান এবং তাকে হুমকি প্রদান করেন। পরতে স্থানীয়দের সহায়তায় সেটি নিয়ন্ত্রনে আসে।

এদিকে অভিযুক্ত ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান খাঁ’র বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,এসব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে। আমি একটি সালিশি করেছি,ঐ গ্রুপটি আমার উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে এসব করছে।

LEAVE A REPLY