ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ও ভোলা–১ (সদর) আসনের সাংসদ তোফায়েল আহমেদ বলেছেন ,করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশগুলো যদি পালন করতাম, যদি অবাধ স্থানান্তর, যাতায়াত বন্ধ হতো, তাহলে এভাবে করোনা ছড়াত না।’আজ সোমবার বেলা একটায় ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্সে ভোলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষার পিসিআর ল্যাব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
উদ্বোধনের সময় সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন,অবাধ যাতায়াত বন্ধ হলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এত ছড়াত না।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কারণ, দিন দিন করোনা (কোভিড–১৯) রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ভোলায় প্রথম দিকে কম ছিল। এখন তা বেড়ে ৩০০ ছাড়িয়েছে। এই ল্যাবের মাধ্যমে পরীক্ষা করালে মানুষের চিকিৎসা পেতে সহজ হবে।’
সাংসদ স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্দেশ করে বলেন, সবাই যেন মাস্ক ব্যবহার করেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জনগণের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। জনসমাগম বর্জন, বাজার মনিটরিং করতে হবে। কেউ যেন খাদ্য নিয়ে রাজনীতি না করে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক নেতারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছি। রাজনীতিবিদেরা দেশের উন্নয়নসহ সব কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখছে। একই সঙ্গে প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছেন। সারা দেশেই সাংসদেরা করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছেন। সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।’
তোফায়েল আহমেদ জানান, ভোলা সদরে ৪০ হাজারের বেশি মানুষকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। ইমাম, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা বাদ পড়েছেন, তাঁদের তালিকা করে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিতে হবে।
কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের সাংসদ নূরুন্নবী চৌধুরী, ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনের সাংসদ আলী আজম, ভোলা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা পরিষদ প্রশাসক আবদুল মমিন, সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী প্রমুখ।
এদিকে নতুন পিসিআর ল্যাব প্রসঙ্গে ভোলার সিভিল সার্জন জানান, ভোলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় পিসিআর ল্যাব বসানো হয়েছে। এ কারণে দুজন ল্যাব কনসালট্যান্ট ভোলায় যোগ দিয়েছেন।
৪ জন চিকিৎসক ও ১২ জন টেকনোলজিস্ট দিয়ে প্রথম ধাপে নমুনা পরীক্ষার কাজ শুরু হবে। এতে আরও তিন–চার দিন সময় লাগবে। প্রকৌশলী কাজ শুরু করেছেন।
সিভিল সার্জন জানান, এ ল্যাবে দিনে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষার জন্য কোনো ফি দিতে হবে না।