ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। ‘আমরা ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করেছিলাম। এর জন্য পুলিশের অনুমতিও নেওয়া হয়। অথচ সকাল ১১টার দিকেই শত শত পুলিশ ওই এলাকা ঘিরে ফেলে। বসানো হয় জলকামান। পুলিশ আমাদের পাঁচ মিনিট সময় দেয়। আর বলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে এলাকা না ছাড়লে গুলির নির্দেশ দেবে।’
খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত রোববার রূপসা উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী পণ্ড করে দেয় পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার খুলনায় কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপির কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘রূপসা উপজেলার আইসগাতিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারী হেলালের বাসভবনে গত রোববার ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়। ওই আয়োজনে তিন হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে অনুমতি দেয়। কিন্তু ঘটনার দিন শতাধিক পুলিশ, দাঙ্গা পুলিশ জলকামান নিয়ে এলাকাটি ঘিরে ফেলে।’
খুলনা শহরে দলীয় কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা।
শফিকুল আলম মনা আরো বলেন, ‘খুলনা জেলার রূপসা, তেরখাদা, দিঘলিয়া, বটিয়াঘাটাসহ বিভিন্ন উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে লাগানো ঈদ শুভেচ্ছা জানানো ব্যানার খুলে নিয়ে যায়। অথচ সরকারি দলের নেতাকর্মীদের একই ধরনের ব্যানার খোলা হয়নি।’
শফিকুল আরো বলেন, ‘ঈদের সময় মানুষ দেখা করে, বেড়াতে যায়। ঈদের পুনর্মিলনী এখানে যুগ যুগ ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নেতাকর্মীরা আসে, একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করে। এটি আমাদের সংস্কৃতিরই অংশ। তা এবার করতে দেওয়া হয়নি।’
এ ব্যাপারে রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আইসগাতিতে কোনো পুলিশ যায়নি।’
তবে ওই ঘটনার একাধিক ছবি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে আছে। যেখানে দেখা যায়, সামিয়ানা টানানো আয়োজনের আঙিনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা করছে পুলিশ।