ভোলা নিউজ২৪ডটনেট।। নিজের নামে ফাউন্ডেশন করেছেন প্রবীণ রাজনীতিক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ। নির্বাচনি এলাকা ভোলায় নিজের প্রতিষ্ঠিত ডজনখানেক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ‘তোফায়েল আহমেদ ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সব আয়কে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ইতোমধ্যে আয়করমুক্ত ঘোষণা করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান নেতা তোফায়েল আহমেদ সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী থাকাকালে নিজের নির্বাচনি এলাকায় বিভিন্ন সময় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন মায়ের নামে ‘ফাতেমা খানম কমপ্লেক্স‘। এই কমপ্লেক্সের অধীনে রয়েছে ফাতেমা গার্লস হাইস্কুল, ফাতেমা খানম ডিগ্রি কলেজ, ১০ শয্যাবিশিষ্ট ফাতেমা খানম মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, এতিম শিশুদের জন্য ফাতেমা খানম মা ও শিশু পরিবার, ফাতেমা খানম জামে মসজিদ, ফাতেমা খানম বৃদ্ধাশ্রম, স্বাধীনতা জাদুঘর (ডিজিটাল)-সহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান। নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে আজহার-ফাতেমা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।
এছাড়া গরিব ও মেধাবী ছাত্রদের বৃত্তিপ্রদান, দরিদ্র-অসহায় ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতা ও জনকল্যাণসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে আগাগোড়াই আর্থিক সহযোগিতা করে আসছেন ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ। এসব জনকল্যাণমূলক কাজ এখন থেকে এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেই পরিচালিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তোফায়েল আহমেদ জানান, অনেক আগে থেকেই তিনি এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনসহ এলাকার মানুষের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। এই কাজগুলো এখন থেকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেই পরিচালিত হবে। এটা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। জনগণের কল্যাণে এটা করা হয়েছে। এখানে কেউ সহযোগিতা করলে তা ফাউন্ডেশনের নামে যাবে। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যয় নির্বাহ হবে।
তিনি জানান, সরকার জনহিতকর প্রতিষ্ঠান পরিচালনার আয়কর রেয়াদ দিয়ে থাকে। তোফায়েল আহমেদ ফাউন্ডেশনও সেই সুযোগ পেয়েছে। ফলে এই ফাউন্ডেশনকে আগামী ৫ বছর কর দিতে হবে না। কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এখানে কোনও অনুদান দিলে ওই অর্থেরও কর দিতে হবে না।
প্রসঙ্গত, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সোমবার (৪ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে তোফায়েল আহমেদ ফাউন্ডেশনের আয়কে শর্তসাপেক্ষে আগামী ৫ বছরের জন্য কর অব্যাহতি দিয়েছে। শর্তে বলা হয়েছে, তোফায়েল আহমেদ ফাউন্ডেশনকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরীক্ষা বিবরণীসহ আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত আয় ফাউন্ডেশনের জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করতে হবে।