দক্ষিণ আইচায় ভূমিদস্যুদের হাত থেকে বাঁচতে চায় অসহায় পরিবার

0
159

চরফ্যাশন প্রতিনিধি।। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর-কচ্ছৈপ্পা গ্রামে ভূমিদস্যুদের হাত থেকে বাচঁতে চায় অসহায় ও হত দরিদ্র একটি পরিবার।

কচ্ছইপ্পা বাজারের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তৈয়ব আলী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের চর কচ্ছৈইপ্পা মৌজার ১০৩ নং জে এল এর ৫১৭ নং খতিয়ানের ৮৫১ নং দাগে এক একর ৫০ শতাংশ জমি আছে।

এই জমি একই এলাকার ভুমিদস্যু কবির ও দুলালের নেতৃত্বে ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ৩১ নং খতিয়ানে ৮৫১ দাগে ৫০ শতাংশ জমি দাবি করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘর পোড়া মামলাসহ আরও একাধিক মামলা ও হামলা করে হয়রানি করে ওই জমিটি জোর জবর দখলের পায়তারা করছে। এছাড়াও তারা সালিশ ফয়সালা মানছেনা আমাদের জমির বিশালাকারের গাছগাছালি কেটে নিচ্ছে। তৈয়ব আলী অভিযোগ করে আরও বলেন, ভূমিদস্যু দুলালের শ্বশুর কবির ও তার মামা আলী একাব্বর ওই দাগে ৭০ শতাংশ জমি পূর্বেই বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে একাধিকবার বিক্রি করে দেয়।

অসহায় তৈয়ব আলীর ভাই হোমিও চিকিৎসক মো.জাকির হোসেন বলেন, ভূমিদস্যু কবির দালালি করে ওই ৭০ শতাংশ জমি বিক্রি করার পর বর্তমানে তার ছেলে সাদেক আলী’র নামে ৩১০ খতিয়ানের ১১৯৯ দাগে ৫০ শতাংশ ওয়ারিশি সম্পত্তি দাবি করে আমাদের ৫১৭ নং খতিয়ানের ৮৫১ নং দাগের জমি দখলের পায়তারা করছে।

তিনি আরও বলেন, তার ছেলে পরিচয় দানকারী সাদেক আলির নামে ৮১-৮২ সালে জমি বন্ধবস্ত করা হয়েছে অথচ কবিরের জন্ম ১৯৬৯ সালে তখন তার বয়য় ১১-১২ বছর। এবং তার স্ত্রী তাছলিমা বেগমের জন্ম ৮২ সালে, তাহলে কিভাবে ছেলের নামে ৮১-৮২ সালে জমি বন্ধবস্ত করা হয়েছে ??।

আর এই ভূমিদস্যু কবির ও তার জামাই ভূমিদস্যু দুলাল আমাদের বিরুদ্ধে বারবার মিথ্যা হামলার নাটক সাজিয়ে সংবাদকর্মীদের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে আমাদের হয়রানিসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে আর্থিক ও মানষিকভাবে বিপর্যস্ত করছে। এ বিষয়ে আমরা স্থানিয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে মাননীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপির কাছে গেলে তিনি স্থানিয়ভাবে সালিশ ফয়সাসালার জন্য দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইনচার্জকে নিদের্শ দেন।

এবং গত ১৬ তারিখে সালিশ ফয়সালায় তারা উপস্থিত না হয়ে আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে দুলালের স্ত্রী বিউটি বেগমকে দিয়ে উদ্যেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা হামলার নাটক সাজিয়ে থানাসহ স্থানিয়দের জানিয়েছে। এ বিষয়ে দুলাল জানান, ওই দিন তাদের সাথে আমাদের এবং স্ত্রী’র বাকবিতন্ডায় জড়ালে মারধরের ঘটনা হলে আমরা থানায় জানিয়েছি। এবং আমরা ৩১নং খতিয়ানে জমি পেলেও তাদের কোন গাছ কাটিনি। তবে আদালতে তাদের সাথে আমাাদের দায়েরকৃত মামলা চলমান রয়েছে।

এবিষয়ে দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, ১৬ তারিখে থানায় তৈয়ব আলীদের সাথে দুলালদের সালিশ ফয়সালার তারিখ ছিল, কিন্তু দুলালরা না আসায় সালিশ ফয়সালা হয়নি। দুই পক্ষের কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

LEAVE A REPLY