জমি সংক্রান্ত বিরোধ, চরফ্যাশনে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা!

0
63

চরফ্যাশন  প্রতিনিধি : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের আবুগঞ্জ বাজার এলাকায় দির্ঘদিন ধরে চলা জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিরোধপূর্ণ জমির মিমাংশা না হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে গ্রুপিং, হামলা,মামলা ও শড়যন্ত্রের ঘটনা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কোনো মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে দু’গ্রপের মাঝে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, আবুগঞ্জবাজারের আলম চৌকিদারের সাথে একই এলাকার মোছলেহ উদ্দিনের সাথে এক একর ৭৬শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে মোছলেহ উদ্দিন জোরপূর্বক ঘর উত্তোলন করতে গেলে আলম চৌকিদার গংরা বাঁধা দেয়। এ নিয়ে চরফ্যাশন কোর্টে মোছলেউদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করা হয়। কোর্ট এ সংক্রান্ত একটি অস্থায়ী নিষেজ্ঞা জারি করে। কোর্টের এ নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে জোড়পূর্বক ঘর উত্তোলন করার অভিযোগ করেছেন আলম চৌকিদার গংরা। তারা আরোও জানান, গত ২৯ ফেব্রুয়ারী মো.হাসিব (১৫) নামের স্থানিয় এক কিশোরকে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ওই মোছলেউদ্দিন এর ছোটভাই ভুয়া সাংবাদিক আল-আমিন ও তার খালাতো ভাই মটর চালক ইমন, নাহিদসহ অন্যান্যরা আটক করে মারধর করে সড়যন্ত্র করে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। এবং এ মাদক আমরা (আলমগংরা) দিয়েছে বলেও তার কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি করার চেষ্টা চালায়। এদিকে মোছলেহ উদ্দিনের দাবী ওই ইয়াবা আমার ঘরে রেখে আমাকে ফাঁসাতে চেয়েছিল প্রতিপক্ষরা।

অন্যদিকে আলম চৌকিদার গংরা দাবি কওে বলেন, আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য প্রতিপক্ষ গ্রুপ হাছিব নামের ওই কিশোরের হাতে ইয়াবা দিয়ে মারধর করে আমাদের নাম স্বীকার করানোর চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় মোছলেহ উদ্দিন শহরের ভাড়াটিয়া ক্যাডার বাহিনী দিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে বেড়াচ্ছে।

প্রতিপক্ষ গ্রুপ স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব মহাদয়ের সরাপন্ন হলে সংসদ সদস্য জমি জমা সংক্রান্ত এ অভিযোগ ফয়সালার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মোর্শেদকে দায়িত্ব দেন। এসএম মোর্শেদ ফয়সালার আগে ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর উত্তোলন বা কোন প্রকার কাজকর্ম করা জাবেনা মর্মে স্থগিত করে রাখার সিদ্ধান্ত দিলেও তা উপেক্ষা করে মোছলে উদ্দিনগংরা কাজ করছিল। এব্যাপারে আলম গংরা চরফ্যাশন প্রেসক্লাব সভাপতি হাসেম মহাজনকে জানালে তিনি দ্রæত ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। এর পরেও কাজ করায় প্রতিপক্ষ গ্রুপ সংসদ সদস্যকে আবার জানান। সংসদ সদস্য দ্রুত এইচএম মোর্শেদকে জানালে শনিবার (২মে/২০ইং) তারিখে সালিশের সমন্বয়কারী সংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ সবুজ, আসলামপুর আওয়ামিলীগ ইউনিয়ন সভাপতি নুরে আলম মাষ্টার সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে ফয়সালার জন্য আগামী ৭মে তারিখ নির্ধারণ করে আবুগঞ্জ বাজার পৌঁছলে তাদের উপস্থিতিতে ওই মোছলে উদ্দিনের খালাতো ভাই ইমন আসলামপুর ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্বাস উদ্দিনের উপর হামলা চালায়। এই নিয়ে দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় মোছলে উদ্দিন তার স্বজনদেরকে খবর দিলে তার খালু গ্রাম পুলিশ হানিফ লাঠি দিয়ে আলমগংদেরকে এলোপাথারী মারধর করেন। এসময় উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ওই গ্রাম পুলিশ হানিফ(৬০), ইমন, ছাত্রলীগ নেতা আব্বাস,হালিমা বেগম,বিবি তাহিরাসহ অন্যন্য নারি পুরুষ আহত হয় ।
স্থানিয় এলাকাবাসিরা জানান, এমন পরিস্থিতি চলমান থাকলে যে কোন মুহুর্তে আবুগঞ্জ বাজার এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জরাতে পারে উভয় গ্রুপ। এছাড়াও মোছলেহ উদ্দিন বাজার সংলগ্ন ৫৬শতাংশ জমি বিক্রি করে পূণরায় ওই জমির নামে আদালতে টাকা দাখিল করে এলাকার মানুষকে ভোগাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্বাস উদ্দিন।

LEAVE A REPLY