ঘোড়ায় চড়ে বর, পালকিতে শ্বশুর বাড়ি গেলেন কনে

0
215

হারুনুর রশিদ শিমুল,ভোলা নিউজ ২৪ ডট কম।। ভোলায় ঘোড়ায় চড়ে বর ও পালকিতে শ্বশুর বাড়ি গেলেন কনে।

ঘোড়ায় করে আসছে বড় ছবিঃ ভোলা নিউজ২৪ডটকম

বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে শহরের গাজীপুর রোড এলাকার ব্যতিক্রমী এ বিয়েতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে।

বর মো. আনোয়ারুল আজিম ওই এলাকার মো. আকবর হোসেনের বড় ছেলে। তিনি ঢাকায় পাসপোর্ট অফিসে কম্পিউটার অপারেটরের চাকরি করেন। অন্যদিকে কনে সুমাইয়া আক্তার (ইরা) সদর উপজেলার ছোট আলগী গ্রামের মো. লোকমান হোসেনের মেয়ে। তিনি ভোলা সরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজে অনার্সে অধ্যয়নরত।

পালকিতে কনে ছবিঃ ভোলা নিউজ২৪ডটকম

এ ব্যতিক্রমী এ বিয়েতে প্রসঙ্গে বর মো. আনোয়ারুল আজিম ভোলা নিউজ২৪ডটকম কে জানান, পালকিতে করে কনে ও ঘোড়ায় চড়ে বর শ্বশুর বাড়িতে আসবে এটা চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্য। কিন্তু কালের বিবর্তনে এটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তাই আমার বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নিই।

দৌলতখান উপজেলার চরপাতা গ্রামের মো. আলমগীর হোসেন ভোলা নিউজ২৪ডটকম কে জানান, তিনি প্রায় ৩৫ বছর আগে বিয়ে করেন। তার বিয়ের অনেক আগেই পালকি ও ঘোড়ার যুগ চলে গেছে। কিন্তু এ আয়োজনের কথা শুনে ছুটে আসেন। ব্যতিক্রমী এ আয়োজন দেখে মুগ্ধ তিনিও।

বরের বন্ধু ইভান তালুকদার ভোলা নিউজ২৪ডটকম কে জানান, আমার বন্ধু তার বিয়েতে ঐতিহ্য তুলে ধরতে চেয়েছিল। আজ তার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

ভোলা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বেনজির আহম্মেদ ভাবনা ভোলা নিউজ২৪ডটকম কে জানান, দাদা-দাদীর মুখে বর ঘোড়ার পিঠে চড়ে ও কনে পালকিতে করে শ্বশুর বাড়ি আসার গল্প শুনেছি। কিন্তু আজ নিজের চোখে দেখলাম।

পালকির মালিক মো. শরীফ ভোলা নিউজ২৪ডটকম কে জানান, কয়েক দিন আগে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ করে পালকিটি তৈরি করি। এ প্রথম আমার পালকিতে কোনো বউ শ্বশুর বাড়ি নিয়ে গেছেন। এটাই আমাদের প্রথম ভাড়া।

এর আগে দুপুরে দুই শতাধিক বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে যান মো. আনোয়ারুল আজিম। বর ও কনেপক্ষের আত্মীয়-স্বজনদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন করা হয়।

LEAVE A REPLY