৫ মাসের শিশুকে হত্যা চেষ্টা॥ দৌলতখানে জমিজমার বিরোধের জেরে ঘরবাড়ি ভাংচুর লুটপাট

0
229

স্টাফ রির্পোটার ॥ বর্বরতা হাত থেকে বাদ পড়েনি দুধের শিশু। ভোলার দৌলতখানে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ঘরবাড়ি ভাংচুরের পাশাপাশি পাঁচ মাসের শিশু বাচ্চাকে গলাটিপে হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে উপজেলা পশু হাসপাতালের পিছনে মিজি রাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। রবিবার সকালে একই বাড়ির আবদুল হাই মাস্টারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসি আমিরুল ইসলামের বসত ঘরে হামলা চালায়এবং ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে।এসময় ঘরে থাকা আমিরুল ইসলামের স্ত্রী রোকেয়া (৪৫), শাহানা ও ৫ মাস বয়সি শিশু বাচ্চা বিবি কুলসুম এর উপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় দৌলতখান উপজেলার চর খলিফা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিজি বাড়ির বাসিন্দা সুলতান আহমেদ গংদের সাথে একই এলাকার আজিজুল হক গংদের সাথে প্রায় ২৫ বছর ধরে জমিজমা সংক্রান্ত্র বিরোধ ছিল। স্থানীয় পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার সালিশের মাদ্ধমে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। স্থানীয় ভাবে সমাধান না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আদালত মামলা চলছে । আদলতে মামলা চলাকালিন সময়ে গত ১৩ ম আব্দুল হাই মাষ্টার নেতৃত্বে বিরধিয় জমি থেকে ৫০ টি গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। পরে ১৮মে এই জমির মালিক ও দৌলতখান পৌরসভার ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আমেনা খাতুন দৌলতখান থানায় অভিযোগ করেন । এর পরে আবদুল হাই মাস্টার গং আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওই জমিতে বসবাসকরা মহিলা কাউন্সিলর আমেনা খাতুনের বোন রোকেয়ার বসত বাড়িতে হামলা চালায় ও ভাংচুর করে। পরে বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আমেনা খাতুন দৌলতখান রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুল হাই মাস্টার গং বিভিন্ন ভাবে হামলার চেষ্টা করতে থাকে ।

রবিবার সকালে ভোর সারে ৫টার দিকে গুপ্ত বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হাই মাষ্টার ও মাসুদের নেতৃত্বে আজিজুল হক ,নাসির, বশির ,মিজান, তানজিল ,রুপা , আরজু, ফারজানা, নওরিন জাহান ময়ুরি সহ প্রায় ৩০ জন সন্ত্রাসী রড, দা, লাঠিসোঠা, সহ ধারালো অ¯্র নিয়ে আমিরল ইসলামের বাসয় হামলা চালায়। ঘর ভাঙচুর, লুটপাট করে । ঘরে থাকা রোকেয়া (৪৫), শাহানা (২৫) কে মারধর করে। এ সময় শিশু বিবি কুলসুম(৫মাস) কে গলা টিপে খাট থেকে মাটিতে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীরা ঘরে থাকা মালামাল, আসবাবপত্র ,স্বর্ণালঙ্কার ,নগদ টাকা সহ প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে। পরে স্থানীয়রা রোকেয়া (৪৫), শাহানা (২৫) ও শিশু বিবি কুলসুম(৫মাস) কে গুরুত্বর অবস্তায় উদ্ধার করে। আহতদের অবস্থা আসঙ্কাজনক হওয়ায় ভোলা সদর হাসপাতালে পেরন করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবদুল হাই মাস্টার গংদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের পাওয়া যায়নি ।
বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে ।

LEAVE A REPLY