এম মইনুল এহসান/ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেট :
ভোলার বাপ্তার বির্তকিত লা-মাজহাবি সালাফি জামাত তথা কথিত আহলে হাদিসের আস্তানা ভেঙে দিয়েছে জনতা । র্দীঘদিন আস্তানা গেড়ে নানা অপর্কম ও ইসলাম বিরোধি র্কমকান্ড চালানোর কারনে স্থানীয় জন সাধারন উত্তোজিত হয়ে বুধবার সকালে সাড়ে ১১টার দিকে এই আস্তানা ভেঙে ফেলে । কামরুল ইসলাম বাবুল নামে এক ভন্ড এই আস্তানা র্নিমান বির্তকিত সালাফি মতবাদ প্রচারের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন ।
ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড এলাকায় এসহাক বেপারী বাড়ি এলাকায় ৫/৬ মাস আগে মসজিদ র্নিমানের নামে লা-মাজহাবি সালাফি জামাত তথা কথিত আহলে হাদিসের আস্তানা র্নিমান করে স্থানীয় লা-মাজহাবি কামরুল ইসলাম বাবুল । আস্থানা র্নিমান করে সহি হাদিসের নামে বিভিন্ন ভন্ডামী করে আসেছে সালাফীপন্থি কামরুল । রোজার সময় ইসলামী ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত ইফতারের সময়ের ১০ মিনিট আগে ইফতার করত । ৮ রাকাত তারাবি ও ১ রাকাত বিতির নামাজসহ বিভিন্ন বির্তকিত সালাফি মতবাদ প্রচারের মাধ্যমে এলাকায় ফেতনা- ফাসাদসহ নানা সমস্যা সৃষ্টি করে । অর্থের বিনিময়ে ভোলার বিভিন্ন স্থানের লোকজন সংগ্রহ করে ব্রেনওয়াস করত কামরুল ও তার অনুসারিরা । এ ব্যাপারে স্থানীয়রা বাধা দিলে কামরুল তাদেরকে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে । স্থানীয় রফিকুল ইসলাম , জাকির , জামাল , কামালসহ কয়েকজন মুসল্লির নামে মিথ্যা চাদাঁবাজি ও অন্য মামলা দিয়ে হয়রানি করে কামরুল ও তার অনুসারীরা । এ ব্যাপারে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছিল । বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয়রা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কামরুলের আস্থানা ভেঙে ফেলে ।
স্থানীরা জানান ,বাঘা বাড়ি এলাকার নুর আলমের ছেলে কামরুল কয়েক বছর ধরে আহলে হাদিস দাবি করে ফতুয়া বাজি করছে । সে কখনো কোন মাদরাসায় পরেনি , সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরা অবস্থায় পড়াশুনা ছেড়ে দেয় । কয়েকবছর আগে কামরুল সালফি মতবাদে বিশ্বাসি হয়ে সে নিজেকে আহলে হাদিস দাবি করে বিভিন্ন বিষয়ে ফতোয়াবাজী করে এলাকায় ফেৎনার সৃষ্টি করে। কামরুলের প্রচারনায় ভোলা শহরের এবং বিভিন্ন এলাকার কিছু যুবক পথভ্রষ্ঠ হয় । কামরুলের আস্তানায় বেশ কিছু জামাত শিবিরের লোকজন সহ বন্ধ হওয়া পিচ টিভির বির্তকিত বক্তা জাকির নায়েক এবং আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রতিষ্ঠাতা বর্তমানে জেলে থাকা মুফতি জসিম উদ্দিন রহমানির অনুসারিরা যাতায়াত করত বলে স্থানীয়রা জানান ।
স্থানিয়রা আরো জানায় প্রায় প্রতিদিন রাতের বেলায় বিভিন্ন এলাকার লোকদের নিয়ে মিটিং করত কামরুল ও তার অনুসারি সিদ্দিক , আবু সহ কয়েকজন । মিটিংয়ে ভোলার বিভিন্ন এলাকার জামাত শিবিরের লোকজনের আনাগোনা থাকতো । প্রতি শুক্রবারে জুমার পরে ভোজের আয়োজন করা হত । কামরুলের মসজিদে জুমার নামাজের সময় স্থানিয় মুসল্লি তেমন না থাকলেও ভোলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসত ।
এই বির্তকিত লা-মাজহাবি সালাফি জামাত তথা কথিত আহলে হাদিসের বিরুদ্ধে ভোলার আলেম সমাজ র্দীঘদিন সোচ্চার ছিল । প্রায় ১ বছর আগে আহলে হাদিস কম্পেলেক্স নির্মানের নামে সালাফি ঘাটি র্নিমানের চেষ্টা চালায় কামরুল ও তার অনুসারীরা । এতে বাধা দেয় ভোলা জেলা ইমান আক্বিদা সংরক্ষন কমিটি । জেলা ইমান আক্বিদা সংরক্ষন কমিটি সভাপতি মাও: বশিরউদ্দিন ,সাধারন সম্পাদক মাও: নুরে আলম ও ভোলার ইমাম সমিতির সভাপতি মাও: মীর বেলায়েতের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারক লিপি প্রদান ও বিক্ষোভ করে ভোলার বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিারা। আন্দোলনের মুখে সে সময় আস্তানা র্নিমান বন্ধ থাকলেও পরে সুকৌশলে মসজিদ র্নিমানের নামে আস্তানা র্নিমান করে কামরুল। বির্তকিত লা-মাজহাবি সালাফি জামাত তথা কথিত আহলে হাদিসের আস্তানা বন্ধে জেলা প্রশাসন ও ভোলার উর্দ্বতন কতৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় জসনসাধারন সহ ভোলার আলেম ওলামাবৃন্দ। খবর পেয়ে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুলিশ মোতায়েন করার হয়েছে বলে জানালেন ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো: ছড়ির মিঞ্চা।
রাতে সরেজমিন গেলে দেখা যায় দ্বীতিয় দফায় হামলার পরে আর অবশিস্ট কিছু নেই। একেবারে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে মসজিদটি। একই সাথে মাগরিবের আগে ড়ুড়িয়ে দেয়ার সময় আগুন দেয়া হয়। তখন পুলিশ গেলে তারা দ্রুত চলে যায়। পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। বেশি ক্ষতি পারেনি। পুলিশ পাহাড়ায় বসে ঘটনাস্থলে।
খবর পেয়ে রাত ৮টায় বাপ্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় তিনি স্থানীয়দের সাথে আলাপ আলোচনা করেন। পরে শান্তিশৃংখলা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করেন।বলেন,বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বর্তমানে ঐ এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।