ভোলার পশ্চিম ইলিশায় জমির মালিককে পিটিয়ে জখম করেছে ভূমিদস্যুরা। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) রাত ১০টায় পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চরপাতা গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। আহতকে মুমুর্ষ অবস্থা উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। হামলার শিকার মোঃ ভুট্টু জানান, ২০০১ সালে স্থানীয় ফজলুল হক, জালাল আহমেদ, বজলু রহমান গংদের কাছ থেকে তার পিতা রুহুল আমিন ৩৪শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত ৩৪ শতাংশ জমি ও পূর্বের জমির সমন্বয়ে রুহুল আমিন একটি মাছের ঘের কাটে মাছ চাষ করেন। দীর্ঘদিন যাবৎ রুহুল আমিন ওই জমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছিলেন। স্থানীয় মাইনুদ্দিনের কাছে থেকে একই এলাকার মোঃ জাহাঙ্গীর দুটি জাল দলিল নিয়ে রুহুল আমিনের ক্রয়ককৃত ৩৪শতাংশ জমি দাবী করে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে একাধিকবার ঝসড়া বাধে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা শালিশের মধ্যমে রুহুল আমিনকে জমি বুঝিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ওই জমি নিয়ে রুহুল আমিন ও জাহাঙ্গীর আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘদিন পর হাইকোর্ট রুহুল আমিনের পক্ষে রায় দেয় এবং জাহাঙ্গীরের দুটি দলিল বাতিল করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) ভূমিদস্যু মোঃ জাহাঙ্গীর, তার জামাই ইস্রাফিল, হিরন লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রুহুল আমিনের ঘেরে প্রবেশ করে গাছ-গাছালি কাটতে শুরু করে। এসময় মাছের ঘেরে থাকা রুহুল আমিনের ছেলে মোঃ ভুট্টু এগিয়ে আসলে জাহাঙ্গীর, ইস্রাফিল হিরন তাকে এলোপাথারী মারধর ও কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। পরে লোকজন ভুট্টকে চিকিৎসার জন্য উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বিষয়টি রুহুল আমিন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানান। ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ইব্রাহিম এ ঘটনায় হামলাকারী জাহাঙ্গীর গংদেরকে পেছন থেকে উস্কানী দিচ্ছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তবে ইউপি সদস্য ইব্রাহিমের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে তার এলাকায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর, ইস্রাফিল, হিরন গংদের সাথে এ ব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে পশ্চিম ইলিশা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেন, এই ঘটনাটি আমি শুনেছি। ওই জমি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। দুপক্ষের কাগজপত্র নিয়ে বসার জন্য বলেছি।