ভোলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমঃ ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে ৭ অক্টোবর থেকে তিন সপ্তাহ ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। আজ রোববার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ্রের সভাপতিত্বে প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০১৮’ বাস্তবায়নসংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্সের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম অর্থাৎ ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন প্রজননক্ষেত্রের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, ইলিশের প্রজননক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার শাহের খালী থেকে হাইতকান্দি পয়েন্ট; ভোলার তজুমুদ্দীন উপজেলার উত্তর তজুমুদ্দীন থেকে পশ্চিম সৈয়দপুর আওলিয়া পয়েন্ট; পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতা চাপালি পয়েন্ট এবং কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া থেকে গন্ডামারা পয়েন্ট।
সরকারি নির্দেশ অনুসারে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গোপালগঞ্জ জেলার সব নদ-নদীতে এ সময় সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়াও দেশের সুন্দরবনসহ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা এবং মোহনাগুলোতেও এই ২২দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। দেশের মাছঘাট, আড়ত, হাটবাজার, চেইনশপসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ওই ২২দিন অভিযানও পরিচালিত হবে।
মন্ত্রণালয়ে টাস্কফোর্সের সভায় মৎস্যমন্ত্রী জেলে সম্প্রদায়, মৎস্য সমিতি, সাধারণ জনগণসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট লোকজনের কাছে এ সময় সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।
সভায় মৎস্যসচিব রইছউল আলম মণ্ডল, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ইয়াহিয়া মাহমুদ, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ইসলাম আলী ও সেক্রেটারি ফনী ভূষণ মালো এবং নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, পুলিশ, বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।