ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেটঃ রাজশাহীর পুঠিয়ায় স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাত ৮টা
থেকে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বটতলা-কার্তিকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৮জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ রাতেই থানায় এ নিয়ে অভিযোগ দেয়। গতকাল ভোরে অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিত গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী জানান, বুধবার বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি তার শ্বশুরবাড়ি বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে বেড়াতে যান। রাত আনুমানিক ৮টার দিকে একটি ভ্যানযোগে তারা স্বামী-স্ত্রী বাসায় ফিরছিলেন। পুঠিয়ার বটতলা-কার্তিকপাড়ার মাঝামাঝি এলাকায় পৌঁছালে জিউপাড়া ইউনিয়নের বিলমাড়িয়া গ্রামের নবির উদ্দিন, মিজান আলীসহ ৭-৮ জন তাদের ভ্যানের গতিরোধ করে। এরপর জোরপূর্বক তাদের ভ্যান থেকে নামিয়ে পাশের একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে যায়। এ সময় ভ্যানচালককে হুমকি দিয়ে চলে যেতে বলা হয়।
তিনি বলেন, পুকুরপাড়ে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করা হয়।এ সময় চিৎকার চেঁচামেচি করলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূর স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলা হয়। গৃহবধূকে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের পুকুরপাড়ে। এরপর রাত ১২টা পর্যন্ত পুকুরপাড়ে ৭-৮ জন মিলে একাধিকবার ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। পরে অনেক অনুরোধের মুখে এবং এ ঘটনা কাউকে না জানানোর শর্তে গৃহবধূ ও তার স্বামীকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর ওই রাতেই পুঠিয়া থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে ঘটনা খুলে বলেন তারা।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান বলেন অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে থেকে আটজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়। পরে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদরে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে কয়েকটি ধারালো দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি।