নাজমুল হুদার সহকর্মীরা জানান, আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের পুরাতন কালেক্টরেট এলাকায় চৈত্র সংক্রান্তির একটি শোভাযাত্রার ছবি তুলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন নাজমুল। এরপর চিকিৎসার জন্য তাঁকে দ্রুত নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। কিন্তু নওগাঁ সদর হাসপাতালে হৃদরোগের চিকিৎসক না থাকায় দুপুরে তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর আড়াইটার দিকে ইন্তেকাল করেন সাংবাদিক নাজমুল।
এদিকে, নাজমুলের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। আজ শুক্রবার বিকেলে তাঁর মরদেহ নওগাঁয় আনা হলে কর্মরত সাংবাদিক ছাড়াও সেখানে ছুটে যান নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ সময় মরহুমের স্বজনদের সমবেদনা জানানো হয়। রাত ৮ টায় মরদেহ নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবে নেওয়া হয়। সেখানে সাংবাদিকরা ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কায়েস উদ্দিন জানান, মরহুম নাজমুল হুদা নওগাঁ শহরের খাস নওগাঁ মহল্লার বাসিন্দা নূরুল হুদার বড় ছেলে। তাঁর বাবা, মা, স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। নওগাঁয় সাংবাদিকতা ছাড়াও সমাজসেবায় নাজমুল হুদার অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি ডিবিসি নিউজ চ্যানেলে শুরু থেকে কাজ করছিলেন। এ ছাড়া নাজমুল দৈনিক সোনালী বার্তা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল কালান্তর ও বরেন্দ্র নিউজে কাজ করেছেন।
কায়েস উদ্দিন আরো জানান, নাজমুলের মৃত্যুতে নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব তিন দিন শোক পালন ও কালোব্যাচ ধারনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে সবার জন্য উন্মুক্ত একটি শোক বই খোলা হয়েছে।