লালমোহন প্রতিনিধি :: ভোলার লালমোহনে পরিত্যক্ত খালে মিলল শিশুর মাথার খুলি ও হাড়গোড়। রবিবার সন্ধ্যায় পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড ওয়েষ্টার্ণপাড়া শেখের দোকানের পশ্চিম পাশে কালভার্ট সংলগ্ন খালে এই খুলি ও হাড়গোড় পাওয়া যায়। পাওয়া যায় শিশুর পড়নে থাকা পেন্টের বেল্টও। কয়েকমাস আগে সেখানকার রাশেদের ছেলে ৩য় শ্রেণির ছাত্র রায়হান (১০) নামের এক শিশু নিখোঁজ হয়। উদ্বারকৃত খুলি ও হাড়গোড় ওই শিশুর বলে নিখোঁজ শিশুর পিতা রাশেদ দাবী করেন। তবে লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) এনায়েত হোসেন জানান, খুলি ও হাড় পরীক্ষার আগে কার তা বলা যাবে না।
জানা যায়, এলাকার রুহুল আমিন নামে এক ব্যাক্তি পরিত্যাক্ত খালের মধ্যে মাছ ধরার জন্য শনিবার থেকে কচুরিপানা পরিস্কার করার জন্য ২জন শ্রমিক নামায় খালে। রোববার সন্ধ্যার আগে শ্রমিক সেলিম কচুরিপানা পরিস্কার করার সময় প্রথমে মানুষের মাথার খুলি পান। এরপর আরও ২টি হাড় পান। খবর পেয়ে লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) এনায়েত হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যান। এসময় দেহের বাকী হাড়গোড় খোঁজার জন্য পূণ:রায় শ্রমিকদের নামানো হয় খালে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে একই স্থানে আরো কিছু হাড়গোড় ও প্যান্টের বেল্ট পাওয়া যায়।
শ্রমিক সেলিম জানান, বরিবার দুপুরের পর খালের কচুরিপানার মধ্যে একটি লাঠি পুতা ছিল সেটি টান দিলে প্রথমে মাথার খুলি ভেসে উঠে। এরপর দুইটি হাড় পাই সেখানে। মানুষের মাথার খুলি পাওয়ার কারনে পরে আমরা খাল থেকে উঠে যাই এবং পুলিশকে খবর দেই।
লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) এনায়েত হোসেন জানান, মানুষের মাথার খুলি পাওয়ার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে বাকী হাড় খোঁজার জন্য খালে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিকালে আরো কিছু হাড় পাওয়া যায়। এই খুলি ও হাড়গুলো কার তা সনাক্ত করতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট ও তদন্তের পর আসল ঘটনা জানা যাবে।
নিখোঁজ শিশুর রায়হানের পিতা মো. রাশেদ জানান, গত বছরের ১২ অক্টোবর খেলাধুলার জন্য শিশু রায়হান বাড়ী থেকে বের হয়ে শেখের দোকানের দিকে গেলে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এঘটনায় পরদির লালমোহন থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়। উদ্বারকৃত খুলি ও হাড়গোড় তার নিখোজ ছেলের হতে পারে বলে তিনি ধারনা করেন। এজন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষার জন্য তিনি প্রস্তুত।