স্টাফ রিপোর্টার,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর এলাকার আলোচিত মামলাবাজ মোঃ রফিক নতুন নাটক সাজিয়ে এক কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে ঘায়েল করতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন। অবশেষে দুই জনপ্রতিনিধি, গ্রাম পুলিশ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ভুল স্বীকার করলে ক্ষমা চেয়ে ইলিশার সাবেক মেম্বারের জিম্মায় দেওয়া হয়।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ২নং ইলিশা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কারিমিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এই ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের বহুল আলোচিত মামলাবাজ মোঃ রফিকের ছেলে নিজাম একটি মিশুক (অটোরিকশা) বন্ধক রাখতে কিছুদিন পূর্বে ইলিশা ৮নং ওয়ার্ডের জামাল মেকারের দোকানে যায়। এসম জামাল মেকার তার প্রতিবেশী দোকানদার কলেজ পড়ুয়া ফিরোজকে সাক্ষী রেখে একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে ৩৫ হাজার টাকায় গাড়ীটি বন্ধক রাখেন।
অটোরিকশা বন্ধক রাখার কয়েকদিন পরে এসে মামলাবাজ রফিক কলেজ পড়ুয়া ফিরোজকে দেখিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। রফিকের হুমকি দেওয়ার পর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে যান কলেজ পড়ুয়া ফিরোজ। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ফিরোজ ভোলা সদর থানায় মামলাবাজ রফিকের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে রফিক ও তার সহযোগী জিয়া এসে ফিরোজকে বলেন, টাকা ছাড়া আমার ছেলের গাড়ী (অটোরিকশা) আমাকে এখন ফেরত দিবি। গাড়ী ফেরত না দিলে আমার ছেলেকে সরিয়ে তোদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দিবো। আমাকে চিনোস, আমি কে? আমি দুই ছেলেকে গুম করে আপন ভাইদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছি, আমি সেই রফিক। মামলাবাজ রফিকের এমন কথা শুনে ফিরোজ তাকে আটকে রেখে ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার আঃ রহমান হাওলাদার, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারের স্বামী আমজাদ হোসেন বাবুল ও এলাকার গ্রাম পুলিশকে খবর দেন। জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রফিককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রফিক তার নাটকের কথা স্বীকার করেন। এসময় রফিক প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলে ইলিশার সাবেক মেম্বার ও ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক কালাম মেম্বারের জিম্মায় রফিককে ছেড়ে দেওয়া হয়। আগামী ৫ দিনের মধ্যে টাকা দিয়ে তার ছেলের মিশুক গাড়ী নিয়ে যাবে মর্মে অঙ্গীকার করেন।
এ বিষয়ে ভোলা সদর থানা ওসি এনায়েত হোসেন জানান, এই ঘটনায় একটি জিডি হয়েছে।তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।