মাদারীপুর প্রতিনিধি ।। জমিজমার বিরোধের জেরধরে মাদারীপুরে স্থানীয় সাংবাদিক মেহেদী হাসান সোহাগের পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী মকবুল হাওলাদর ও তার পক্ষের ভাড়াটিয়া লোকজন। হামলায় সাংবাদিক এর মা’সহ আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন। শনিবার রাতে সদর উপজেলার মস্তফাপুরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।এঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ভোলা জেলা শাখার সভাপতি মো: আফজাল হোসেন,সম্পাদক এড, সাহাদাত হোসেনসহ সংগঠনের সকল নেতা-কর্মিরা। তারা এঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করার দাবী জানান।
পুলিশ, হাসপাতাল ও প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদরের মস্তফাপুর এলাকায় সন্ত্রাসী মকবুল হাওলাদার ও তার বড় ভাই মোতালেব হাওলাদারের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিলো। বিরোধের জের ধরে শনিবার রাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র হাতে সন্ত্রাসী মকবুল হাওলাদার ও তার ছেলে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে সাংবাদিক মেহেদীর পিতা মোতালেব হাওলাদারের বাড়িতে হামলা চালিয় বাড়িঘর ভাংচুর ও নারীসহ ৫ জনকে আহত করে।
আহতরা হলেন, সাংবাদিক মেহেদীর মা সেলিনা বেগম (৪৫), আজিজুল হাওলাদার (৪০), জামিলা বেগম (৩৫), হাবিব হাওলাদার (২৫), শাখাওয়াত (৪০)। সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মোতালেব হাওলাদারের স্ত্রী ও সাংবাদিক মেহদীর মা সেলিনা বেগম মারত্মক আহত হয়। তার মাথায় ১৫টি সেলাই দেওয়া হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে চিকিসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা দ্বিতীয় দফায় হাসপাতালের মধ্যে হামলা চালিয়ে আজিজুল হাওলাদার কে আবার মারধর করে মারাত্বক ভাবে আহত করে। আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের অবস্থা আশংখাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার রোববার দুপুরে উন্নত চিকিসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, মকবুল হাওলাদার আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত বলে এলাকার মুরব্বি থেকে শুরু করে কাউকেই সে পরোয়া করে না। প্রায় সব বয়সই লোকের সাথে সে খারাব ব্যবহার করে থাকেন। এলাকার লোকের কাছে বেয়াদোব মকবুল নামে পরিচিত। সে গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ-প্রার্থী হওয়ার জন্য পোস্টারও ছেপে ছিলেন।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ কামরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক মেহেদী বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।