ভোলায় ১০ বছর ধরে বিনামূল্যে ইফতার হয় এই মসজিদে

0
606
আদিল হোসেন তপু,রাকিব উদ্দিন অমি, ভোলা নিউজ২৪ডটনেট।। ভোলার নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন জামে মসজিদ। রমজান এলেই এই মসজিদে মাস জুড়ে রোজধারী ব্যক্তিদের বিনামূল্যে ইফতার করানো হয়। এই মসজিদ নয় জেলার ৯৩টি মসজিদে গত ১০ বছর ধরে বিনামূল্যে ইফতার করাচ্ছেন নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহমেদ। শুধু মসজিদ নয় বিদ্ধাশ্রম, এতিমখানর শিশুদের ইফতার করান তিনি। তার ইফতার খেতে প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। প্রতিদিন ৪শ থেকে ৫শ’ মানুষ ইফতার করছেন।  আল্লাহর সন্তুষ্টি ও রোজাদারের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য তিনি এমন মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

নিজাম উদ্দিন ভোলা নিউজ২৪ডটনেট কে  বলেন, ইফতারি করানো অনেক সোয়াব এর কাজ। একজন মুসলমান যখন সারাদিন রোজা রেখে ইফতারি করেন ও যিনি করান তাদের দুজনেরই সোয়াব হয়। যেহেতু আল্লাহ পাকা আমাকে সুযোগ ও অর্থ দিয়েছে সেহেতু আমি প্রতি রমজান মাসে ৯৩টি মসজিদে ইফতার করাই। এতে যেন মহান আল্লাহপাক সন্তুষ্টি হন, তেমনি রোজাদারের মুখে হাসি ফুটে।

ইফতার করতে আসা কলেজ ছাত্র আরিফ উজ্জামান ভোলা নিউজ২৪ডটনেট কে  বলেন, নিজাম উদ্দিন সাহেব যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা অত্যান্ত চমৎকার উদ্যোগ। আমরা এখানে ধনী-গরীব সবাই মিলে এক সঙ্গে ইফতার করতে পারি। বাসায় যেভাবে ইফতার করি এখানে ইফতার করলে মনে হয় বাসার যেন ইফতার করছি।

রিকশা চালক ইউসুফ ভোলা নিউজ২৪ডটনেট কে  বলেন, সারাদিন রোজা রেখে রিকসা চালিয়ে অনেক ক্লান্ত  হয়ে যাই। আর এখানে এসে ইফতার করতে পেরে খুব ভালো লাগে। সব ধরনের খাবার দিয়ে পেট ভরে ইফতার করানো হয়। খেয়েও তৃপ্তি পাই।

সাংবাদিক সোলায়মান হোসেন ভোলা নিউজ২৪ডটনেট কে  বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এখানে ইফতার করানো হয়। ধনী-গরীব কোন বেধাবেদ নেই। সবাই একসঙ্গে বসে প্রাণবন্ত পরিবেশে ইফতার করছে। নিজান সাহেবের মতো দানবীরের কারনে যারা নি:স্ব অসহায়, ঠিক মতো খেতে পারে না তারা আজ পেট পুরে খেতে পারছে। তাই গরীব দুখী মানুষের কথা চিন্তা করে হলেও  ভোলার অন্যান্য বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

নিজাম হাসিানা ফাউন্ডেশনের পরিচালক ডা. আবদুল মালেক ভোলা নিউজ২৪ডটনেট কে  বলেন, এখানে নিজাম উদ্দিন এর পক্ষে থেকে প্রতিবছর রমজান মাস ইফতার করানো হয়। শরবত, মুড়ি, ছোলা, পেঁয়াজি, খেজুর, জিলাপি, জুস, ডিম সহ নানা আইটেমে ইফতার করানো হয়। প্রতিদিনই এখানে রোজাদারদের সংখ্যা বাড়ছে। অনেকেই বন্ধুবান্ধবসহ এখানে এসে ইফতার করেন।

LEAVE A REPLY