রাকিব উদ্দিন অমি ।। ভোলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতিতে মাদকদ্রব্য উদ্ধারে বেশ ভালোই সফলতা হলেও ধর্ষণসহ নারী-নির্যাতনের মত ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে সচেতন মহলকে। সিধেল চুরি আর চুরির ঘটনার পাশাপাশি খুনের ঘটনা কম নয়। বাদ যায়নি পুলিশ আক্রান্তর ঘটনাও।
চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে শুরু করে আগস্ট পর্যন্ত ৮মাসের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই এমনটা পাওয়া গেছে। জেলা আইনশৃংখলা বিষয়ক সভায় পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে দেয়া তথ্য। জেলায় সর্বমোট ১ হাজার ৫শ ৮৯টি মামলা হয়েছে। যার মধ্যে মার্চ মাসে সবোর্চ্চ ২২০টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কম হয়েছে মে মাসে ১৭৮টি মামলা হয়েছে। মামলার মধ্যে সবোর্চ্চ স্থানে রয়েছে পুলিশের সফলতা হিসেবে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনা।
পুলিশ বাহিনী গত ৮মাসে এই বাহিনীটির সদস্যরা ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার এর তত্ত্বাবধানে ৫১২টি মাদকদ্রব্যর উদ্ধার ও অপরাধী ধরার ঘটনায় মামলা হয়েছে। যা ছিলো বেশ বড় ধরনের একটা সফলতা। এর ফলে তিনি বরিশাল বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হিসেবে সম্মানীত হয়েছেন। এছাড়াও গোয়েন্দা পুলিশ বিভাগ এর ওসি মো: সহিদুল ইসলাম জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায়। মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৯১টি মাদকদ্রব্যর মামলা হয়েছে এবং কম হয়েছে এপ্রিল মাসে ১৯টি।
এদিকে সফলতার পাশাপাশি যখন ধর্ষন ও নারী-নির্যাতনের মত ঘটনার মামলায় দেখা যায় পরিস্থিতি কতটা খারাপ আবার সেটাও ফুটে উঠে। গত ৮মাসে ৬০টি ধর্ষনের মত ঘটনার পাশাপাশি নারী-নির্যাতনের মত ঘটনা ঘটনা ঘটেছে ১৩০টি। সর্বমোট দেখা যায় ধর্ষন ও নারী-নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে ১৯০টি। এর মধ্যে ধর্ষনসহ নারী-নিনির্যাতনের ঘটনায় আগস্টে সর্বোচ্চ মামলা হয়েছে ৩০টি আর কম হয়েছে ফেব্রুয়ারী মাসে ১৫টি। এছাড়া খুনের মত ঘটনায় মামলা হয়েছে ১৩টি। সিধেল চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে হয়েছে ২৫টি এবং শুধু চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে আরো ২০টি। অস্ত্র আইনে ৭টি মামলা হয়েছে। একই সাথে অপহরনের ঘটনায় মামলা হয়েছে ৬টি।
তবে অপরাধীদের ধরতে গিয়ে কিংবা মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে গিয়েও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা আক্রান্ত হচ্ছে। জেলার লালমোহনে আগস্টে এবং এপ্রিলে মনপুরায় পুলিশ আক্রান্তের ঘটনায় মামলা হয়েছে ২টি। অপরদিকে দস্যুতার ঘটনায় ২ আর ১টি নৌ ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুধু তাই নয় চোরাচালানের মত ঘটনায় মামলা হয়েছে ৫টি। এছাড়াও মামলা হয়নি কিংবা থানা পর্যন্ত আসতে পারেনি এমন ঘটনার সংখ্যা আরো অনেক বেশি বলে মনে করছেন ভোলার সচেতন মহল। তাদের মতে মাদকদ্রব্য উদ্ধারে সফলতা নজরে পড়লেও বড় কোন ব্যবসায়ী আটক হয়নি আজ পর্যন্ত। এছাড়া মাদক ব্যবসায়ীরা ধরন পাল্টে আড়ালে থেকে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে,যা যুব সমাজের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারন হতে পাড়ে। এদের খুজে বের করতে না পারলে মাদক উদ্ধার সফল হবে না।
এ বিষয় বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠত্ত্ব অর্জনকারি ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন,মাদক উদ্ধারের মত অন্যসব কাজেও আমাদের সফলতা রয়েছে। তবে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে বাহিনীর প্রতিটি সদস্য ততপর রয়েছে। মাদক উদ্ধারের সফলতায় আরো গতি আনার চেস্টা চলছে।