মো: আফজাল হোসেন :: ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ হলেও তা মানছে কেউ। প্রকাশ্যেই হাকডাক দিয়ে বিক্রি আর জেলে নৌকার সমাগমে জমজমাট নদীর পাড়ের মাছঘাট গুলো। অভিযোগ রয়েছে ম্যানেজ করেই করা ধরা এবং বিক্রি হচ্ছে। তবে মৎস্য অধিদপ্তর বলছে শুধু আমাদের পক্ষে সব নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হচ্ছে না।
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা,শিবপুর,কাচিয়া ও রাজাপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি মাছ ঘাট ঘুরে দেখা যায় সম্পুর্ন ভিন্ন চিত্র। অভয়াশ্রম হিসেবে মেঘনা নদীকে সরকার ঘোষনা করেছে তার চিহ্ন দেখা যায়নি এসব মাছ ঘাট গুলোতে। শত শত জেলে নৌকা মাছ নিয়ে ভিরছে এসব ঘাটে। ইলিশা ফেরিঘাটের দুই পাশে দুটি ঘাট। জেলে নৌকায় বোঝায় করে মাছ আসছে আর প্রকাশ্যে হাকডাকের মাধ্যমেই তা বিক্রি করা হচ্ছে। একই সাথে বরফ দিয়ে বিশাল বিশাল ঝুড়ি বোঝাই করা হচ্ছে। সরেজমিন গেলেই ঝুড়ি বোঝাই একটি ট্রলার দ্রুত ঘাট ত্যাগ করে রাজাপুর ইউনিয়নের জোরখাল মাছ ঘাটে চলে যায়। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা রাজাপুর এলাকার জোরখাল মাছ ঘাটে। শত শত নৌকা নদী থেকে ইলিশ ও পোমাসহ অন্যসব মাছ নিয়ে ঘাটে আসছে আর আড়ৎদাররা তা হাকডাক দিয়ে বিক্রি করছে। একই দৃশ্য প্রায় মাছঘাট গুলোতে। এসময় বেশ কয়েকজন জেলের সাথে (নিরাপত্তার কারনে নাম প্রকাশ করা হয়নি) আলাপ হয়,তারা বলেন,নিষিদ্ধ সময় দিয়েছে সরকার। তবে এখন ইলিশ ও পোমা মাছ বেশি ধরা পরছে জালে।
তাই আমরা ধরছি। ধার দেনা অনেক বেশি। জোয়ের সময় নদীতে জাল ফেলে চলে আসি আবার গিয়ে জাল তুলে নিয়ে আসি। জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পরছে। দাম ভালো পাচ্ছি। তবে মাঝে মাঝে প্রশাসন দৌড়ানি দিলে সমস্যা হয়। তবে সুনেছি প্রশাসনের নামে টাকা নিচ্ছে কিছু মানুষ। তাদেরকে চিনি না,তবে আমাদের কাছ থেকে টাকা নেয়। এরিপোর্ট লেখা রাত সোয়া ৭টায় ইলিশা মাছ ঘাট থেকে দুটি ট্রলার বোঝাই করে ইলিশ মাছ নেয়া হচ্ছে।
আড়তৎদাররা বলেন,ভাই এখন মাছ বেশি পরছে। তবে কারেন্টজাল বন্ধ করতে পারলে আর সমস্যা হবে না। এখন ইলিশের পাশাপাশি পোমা মাছ ধরা পরছে তাই জেলেরা নদীতে নামছে মাছ ধরতে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম বলেন,আমি চরফ্যাশনে এসেছি। আসলে ইলিশাতে একটা নৌ থানা রয়েছে। নৌ পুলিশ থানার পাশেই বেশ কয়েকটি মাছ ঘাট। এসব বিষয় তাদের দেখা উচিত। তারা যদি না দেখে আমাদের একার পক্ষে কি সবকিছু করা সম্ভব। তার পরেও আমরা দেখবো।