ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের ফয়জাবাদ মহাসড়কে দেশটির আইন ও বিচারমন্ত্রী জাহিদ হামিদের পদত্যাগের দাবিতে সহিংস বিক্ষোভকারীদের অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। গতকাল (শনিবার) থেকে এ পর্যন্ত সেখানে অন্তত ছয়জন নিহত ও ২১৭ জন আহত হয়েছে বলে দেশটির প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক ডন জানিয়েছে। আহতদের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বহুসংখ্যক সদস্য রয়েছে।
ধর্মঘটকারীদের উচ্ছেদের জন্য গতকাল থেকে পুলিশ অভিযান শুরু করলেও তা সফল হয় নি। ফলে সরকার সেনা তলব করে। তবে সেনাদেরকে সেভাবে রাস্তায় দেখা যায় নি বরং বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে করাচি, লাহোর, পেশোয়ারসহ পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সব শহরে। অবস্থান ধর্মঘটকারীদের উচ্ছেদের জন্য আদালত তিনদিনের সময়সীমা বেধে দিয়েছে সরকারকে।
সংঘর্ষে আহত এক বিক্ষোভকারী
এদিকে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় রোববার পাক প্রধানমন্ত্রী শাহীদ খাকান আব্বাসির নেতৃত্বে জরুরি বৈঠক হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এহসান ইকবাল, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ও সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই`র মহাপরিচালক নাভিদ মুখতার। এর আগে সেনাপ্রধান বাজওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর সংক্ষেপ করে দেশে ফিরে যান।
অবস্থান ধর্মঘটকারীরা জাহিদ হামিদকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্তের দাবি জানাচ্ছে। তাদের অভিযোগ, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পড়ানোর সময় থেকে রাসূলুল্লাহ (সা.)’র উপাধি ‘খাতামুল আম্বিয়া’ বা ‘শেষ নবী’ কথাটি বাদ দিয়ে মন্ত্রী ইসলাম অবমাননা করেছেন।
মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে পাকিস্তানে বিক্ষোভকারীরা ‘তেহরিকে লাব্বাইক ইয়া রাসূলুল্লাহ’ পার্টি গঠন করে গত ৮ নভেম্বর থেকে ইসলামাবাদে অবস্থান ধর্মঘট করে আসছে। তারা ওই দিন থেকে নগরীর ফয়জাবাদ মহাসড়ক বন্ধ করে দিয়ে মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানাতে থাকে। ফয়জাবাদ হচ্ছে ইসলামাবাদে প্রবেশের প্রধান রুট। মন্ত্রী নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার পরও বিক্ষোভকারীরা তা মানতে নারাজ।