ভোলা নিউজ ২৪ডটনেট।।জনমতের প্রতিফলন ঘটে এমন অবাধ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মুখ্য উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিস ওয়েলস।
রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে থেকে শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও সহিংসতার জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে যুক্তরাষ্ট্র আন্তরিক বলেও জানান তিনি।
চারদিনের বাংলাদেশ সফরের তৃতীয় দিনে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলেন মার্কিন মুখ্য উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সন্ধিস্থলে থাকা বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রেখে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।’
এজন্য সম্প্রতি বাংলাদেশকে ৪ কোটি মার্কিন ডলার দেয়ার ঘোষণার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক সামরিক সহায়তা হিসেবে দেয়া এই অর্থে বাংলাদেশের উপকূলীয় রাডার ব্যবস্থার মানোন্নয়ন, টহল নৌযান বহরের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ এবং সম্প্রসারিত সামুদ্রিক কার্যক্রম পরিচালনার প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এগুলোর সবই আমাদের বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভের অংশ।’
এ দেশের ভবিষ্যৎ সাফল্য নিশ্চিতে জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা ও জনমতের প্রতিফলনকে গুরুত্ব দিয়ে অ্যালিস ওয়েলস বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারকে মৌলিক অধিকার বিশেষ করে বাক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং জনমতের প্রতিফলন ঘটে এমন অবাধ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দেয়া অঙ্গীকার রক্ষা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করে ঢাকায় ফিরে এই সংবাদ সম্মেলনে অ্যালিস ওয়েলস বলেন, ‘ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আমরা বার্মা (মিয়ানমার) সরকারকে আহ্বান জানানো অব্যাহত রেখেছি। এজন্য আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে দেশটির সরকারকে তাগিদ দিয়ে আসছি। বার্মার নিরাপত্তা বাহিনীর যে সদস্যরা সহিংসতার জন্য দায়ী আমরা তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনারও তাগিদ দিয়ে যাচ্ছি।’
শনিবার চারদিনের সফরে শনিবার ২০ অক্টোবর বাংলাদেশে আসেন তিনি। সফরের তৃতীয় দিন সন্ধ্যায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটও উপস্থিত ছিলেন।